জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফমারীর সৈয়দপুরে কামারপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

সোমবার(৭ অক্টোবর) দুপুরে তাঁরা সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়কের দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ৪ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। আটকা পড়েন বিমানের যাত্রীরাও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম ও সৈয়দপুর থানা পুলিশ। পরে বেলা ৩ টার দিকে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা তাদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। নারী কেলেঙ্কারীর কারণে তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছিল। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা করেছেন যা আদালতে চলমান রয়েছে ৷
ইতিপূর্বে তাকে অপসারণের দাবিতে দীর্ঘদিন করেছেন আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা ৷ নারী ঘটিত ঘটনা নিয়ে তিনি ২০১৭ইং সন থেকে সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন ৷
কিন্তু অদৃশ্য কারণে তিনি বহাল তবিয়তে আছেন ৷
গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনি আবারও ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টিউশিন ফি আদায় করছে। তারা আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক শিক্ষার বিষয়ে ঠিকমতো তদারকি করেন না। এত বড় বিদ্যালয়ে ওয়াশরুম ও কমনরুম নেই। আর এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো হুমকি-ধমকি দেন তিনি। একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কোন শক্তির ইশারায় পুনরায় প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করলেন চিহ্নিত করে তাদেরও বিচারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এর আগেও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে আমাকে সামায়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছিল। আমি নির্দোষ প্রমানিত হয়েই আবারও যোগদান করি। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তারা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারাই ইন্ধন দিয়ে শিক্ষার্থীদের এভাবে সড়কে নামিয়েছে। আমার ব্যাপারে কোনো অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করে দেখা হোক।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, শুনেছি এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা আমার দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি এখনও সেটি হাতে পাইনি। কেননা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সৈয়দপুর পৌর কার্যালয়ে আছি। লিখিত অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে