senabahini

ডেস্ক রিপোর্টঃ সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। যথাযথ মর্যাদায় ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় দিনটি উদ্যাপিত হবে। সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমানঘাঁটির মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। আইএসপিআর জানায়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে তাঁরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী ও নির্বাচিতসংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা জানাবেন। এ ছাড়া ২০১৫-১৬ সালে সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন সেনা সদস্য (একজন) ও বিমানবাহিনী সদস্যদের (দুজন) বাহিনী পদক এবং অসামান্য সেবা পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের (দুজন) পদকে ভূষিত করবেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিশেষ সহকারী, সামরিক সচিব ও প্রেসসচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে। জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা, সরকারের উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও মন্ত্রী মর্যাদার ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার ব্যক্তি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, ঢাকা এলাকার সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর সাবেক প্রধান, ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, নির্বাচিত রাজনীতিক, বিশিষ্ট ব্যক্তি, স্বাধীনতাযুদ্ধের সব বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারী, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ও পরে খেতাবপ্রাপ্ত ঢাকায় বাসরত কর্মকর্তা বা তাঁদের উত্তরাধিকারী, উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রমুখ আমন্ত্রিত ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আগামীকাল ২২ নভেম্বর সেনাবাহিনী প্রধান ও বিমানবাহিনী প্রধান নিজ নিজ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। নৌবাহিনী প্রধান আজ নিজ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। সাভার, বগুড়া, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, যশোর, রংপুর, খুলনা ও রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসেও সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে।

দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সেনা-গ্যারিসন, নৌ-জাহাজ ও স্থাপনা এবং বিমানঘাঁটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা (সদরঘাট), নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা, চাঁদপুর ও বরিশালে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর জাহাজগুলো আজ দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
দিবসটি উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

কে/কে/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে