hasina

ডেস্ক রিপোর্টঃ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানগণের চাকরির সময়সীমা সর্বোচ্চ ৪ বছর নির্ধারণ করে সোমবার এক খসড়া আইনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানগণ নিয়োগ, অবসর এবং বেতন ও ভাতা আইনে ২০১৬ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম ব্রিফকালে সাংবাদিকদের বলেন, ৪৪ বছর আগে প্রণীত সংবিধানের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তাবিত এ আইন প্রণীত হয়েছে।
বর্তমান এ সম্পর্কিত প্রক্রিয়া (নিয়োগ, অবসর এবং বেতন-ভাতা) ‘জয়েন্ট সার্ভিস ইনস্ট্রাকশন’ শীর্ষক আদেশের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, জনস্বার্থে অবসর প্রদান বা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ না করলে রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানগণকে নিয়োগ দিবেন এবং এই পদে টানা বা বর্ধিতকরণসহ ৪ বছর দায়িত্ব পালন করা যাবে।
এতে বলা হয়, তিন বাহিনীর প্রধানগণ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমপর্যায়ে বেতন পাবেন। এ ছাড়া ভাতাও পাবেন।
৪ বছর মেয়াদ পূর্তির পর তারা বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনে পুনরায় চাকরির জন্য অযোগ্য হবেন।
তবে তারা যে কোনো সাংবিধানিক পদে নিয়োগ বা কোনো বেসরকারি সংস্থায় চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করতে পারবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এদিনের মন্ত্রিসভা আরো তিনটি আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের পাশাপাশি ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন করেছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ‘সীমান্ত হাট’ স্থাপন ও পরিচালনা সংক্রান্ত নবায়ন ও পুনঃস্বাক্ষরের জন্য খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত আইনের খসড়াগুলো হচ্ছে- ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৬’, ‘বীজ আইন-২০১৬’ এবং ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন-২০১৬’।
‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৬’ বাংলায় করা এই আইনটি ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-১৯৭৩-কে প্রতিস্থাপন করবে এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯৯৬ সালে আনয়নকৃত আইনের সংশোধনীটিও এর সঙ্গে সংযোজিত হবে।
এ ছাড়া আজকের সভায় বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে ‘সীমান্ত হাট’ স্থাপন ও পরিচালনা সংক্রান্ত নবায়ন ও পুনঃস্বাক্ষরের জন্য খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১০ সালে এই সীমান্ত হাট শুরু হয়েছিল। বর্তমানে চারটি স্থানে এই হাট বসে। কিন্তু এগুলোর মেয়াদ ছিল তিন বছরের জন্য। কিন্তু সেই সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। এ জন্য খসড়ায় তিন বছরের স্থানে পাঁচ বছর করা হয়েছে হাটের মেয়াদ।
হাটে বিক্রেতার সংখ্যা বিদ্যমান ২৫-এর স্থলে ৫০ করা হয়েছে। আর বর্তমানের পণ্য ক্রয়সীমা ১০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০০ ডলার করা হয়েছে। হাটে প্রবেশের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তার অনুমতি নেয়ার নতুন আইনে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই চার হাটের পাশাপাশি আরও ছয়টি হাট স্থাপনের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে