Untitled-1

বিডি নীয়ালা নিউজ(৪জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের মাননীয় অধ্যক্ষ ড. প্রকৌশলী মো: শওকত আলী
বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার অডিটরিয়ামে আয়োজিত “প্রযুক্তি শিক্ষার গুরুত্ব ও আমরা” শীর্ষক এক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ড. প্রকৌশলী মো: শওকত আলী।

সভাপতির বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন- পৃথিবীতে ৪টি বিষয়ের যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষ এমন একজনকেও পাওয়া যাবেনা যার ভাতের অভাব আছে। বিষয় ৪টি হলো: কম্পিউটার, ড্রাইভিং, গণিত, ইংরেজি। এ চার বিষয়ের কোন একটিতে দক্ষ হতে পারলে তার আর পিছু তাকাতে হয় না।
তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারের উপযোগি হয়। তার মধ্যে সরকারিভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয় মাত্র ২ লাখ। আরো ২ লাখ কর্মসংস্থান হয় বেসরকারীভাবে। প্রতিবছর প্রায় ৫-৬ লাখ লোক পাড়ি জমান বিদেশে। বাকী ১০-১১ লক্ষ জনবল প্রতিবছর বেকার থেকে যায়। তিনি বলেন এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আমাদেরকে আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
জরিপে দেখা যায় বর্তমানে দেশের ২১ লাখ শিক্ষিত (গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট) তরুণ বেকার। অষ্টম শ্রেণীর যোগ্যতাসম্পন্ন একজন পিয়ন পোস্টের জন্য আবেদন জমা পড়ে ৩০-৪০ হাজার। যাদের অধিকাংশই উচ্চ শিক্ষিত। যা খুবই অনুতাপের বিষয়। এর সবচেয়ে বড় কারন হলো বাস্তবিক দক্ষতার অভাব।
তাই তিনি জোরালোভাবে বলেন, পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে চাকরির আশায় বেকার বসে না থেকে যথাযথ কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হোন।
তিনি আরো বলেন বিশ্বে মাত্র ২টি দেশে তারুণ্যের হার সবচেয়ে বেশি। প্রথমত বাংলাদেশ, দ্বিতীয়ত ব্রাজিল। এই তরুণ শক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো। আর এই বিপুল সম্ভাবনাময় তরুণদের স্কিল ডেভলোপ করতে প্রযুক্তিগত শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি আশা করেন আমাদের বিপুল জনসংখ্যা বিভিন্ন ট্রেডে যুগপোযুগি প্রশিক্ষন নিয়ে জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে

-অধ্যক্ষ ড. প্রকৌশলী মো: শওকত আলী

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে