আ,ফ,ম মহিউদ্দিন শেখ কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকেঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৩নং নিতাই ইউনিয়ানে মঙ্গলবার ৩’শত ৫১ জন ভিজিডি কার্ডধারীকে চাল বিতরনের করা হয়। চাল বিতনের সময় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিতাই ইউনিয়ানের বেলতলি বাজার নামকস্থানে চাল বিতরনের সময় চালের বস্তার মধ্যে ময়লা,ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথরযুক্ত, একেবারে নিম্ন মানের চাল বিতরণ করেন। নারগিস আক্তার কার্ড নম্বর ২৮৫,ফেরদৌসি (২৬৮),মারুফা (১১৪),মাজেদা (২৯৮),বুলবুলি (৬৩),সামিনা (২৯০),ফজিলা (৩১৮) অভিযোগ করে বলেন যে চাল দিচ্ছে তা মানুষতো দুরের কথা গরু ছাগলকে পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে না। আমাদের কাছ থেকে বস্তা প্রতি ২৫ টকা করে নেয়া হয়। চাল বিতরনের সময় ট্যাগ অফিসার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান ও নিতাই ইউনিয়ান সচিব আবু সুফিয়ান যিনি নিজেই কার্ডধারীর কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিলেন। চালের বিষয়ে উপজেলা ওসিইলিসডি সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাকে কেন ফোন করেছেন। আমি ভাল চাল দিয়েছি ওনারা হয়তো পররিবর্তন করেছে। তাদেরকে জিঙ্গাসা করেন। ইউপি সচিব আবু সুফিয়ান বলেন আমি খাদ্য গুদামে একসাথে অতগুলো বস্তা আনি যার প্রতিটি বস্তা দেখে নেয়া সম্ভব হয়না। এ বিষয়ে নিতাই ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা নয় মাস থেকে চালের পরিবহন বাবদ কোন টাকা পয়সা পাই না। যার কারণে প্রতি কার্ডধারীর কাছ থেকে পরিবহন বাবদ ২৫ টাকা করে নেয়া হয়। এবং তা নাকি উপজেলা পরিষদে রেজুলেশনে উল্লেখ আছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন কার্ডধারীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন প্রকার রেজুলেশন নাই। কিন্তু যদি খারাপ চালের বস্তা গিয়ে থাকে চেয়ারম্যান সাহেব বললে ওই চালের বস্তা পরিরর্তন করে দেয়া যাবে।