ডেস্ক রিপোর্টঃ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার সময় রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১২জন নিহত হয়েছে ।

এখনো নিখোঁজ বেশ ১০/১৫ জন। কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসার সময় বাংলাদেশের উপকূলে রোববার রাতে নাফ নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়।

টেকনাফ থানার ওসি মাইনুদ্দিন খান জানিয়েছেন, নাফ নদীর মিয়ানমার অংশে নাইক্ষংদিয়া নামের চরে ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে লোকজন এসে জমায়েত হয়।

তারপর তাদের মধ্য থেকে ৪৫/৪০ জনের একটি দল গতকাল ১৫/১৬ জনের ধারণ ক্ষমতার নৌকায় করে রওনা হয়।

কিন্তু তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত চালু থাকায় সাগর ছিল উত্তাল। অতিরিক্ত যাত্রী বহনকারী নৌকাটি বাংলাদেশের শাহপরী দ্বীপে আসার সময় গোলার চরের কাছে রাত সাড়ে নটায় দিকে নাফ নদী ও সাগরের মোহনায় ডুবে যায়।

নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান চালায় বিজিবির সদস্যরা।

রোববার রাতে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে আরও দশজনের মৃতদেহ।

এছাড়া রাতেই জীবিত উদ্ধার করা হয় আটজনকে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বার্মিজ সেনাবাহিনীর অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বার্মিজ সেনাবাহিনীর অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৫/৪০জন আরোহী ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। এখনো ১০/১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বার্মিজ সেনাবাহিনীর অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় নৌকাটিতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসছিল।

এর আগেও গত ২৮ সেপ্টেম্বর উখিয়ার ইনানি বিচ এলাকায় একশোর মত রোহিঙ্গাকে বহনকারী নৌকা ডুবে ২৩জন প্রাণ হারান।

গত আগস্ট মাসের শেষদিকে মিয়ানমারে সহিংসতার পর থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার সময় এ নিয়ে ২৫টির মত নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

B/B/C/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে