ডেস্ক রির্পোট: চট্টগ্রামে মেজবানে দুর্ঘটনার জন্য পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রীমা কনভেনশন সেন্টারের পশ্চিম দিকের ফটকের প্রবেশপথের নির্মাণত্রুটি, আয়োজনের তুলনায় অধিকসংখ্যক লোকের আগমন এবং হুড়োহুড়ি করে প্রবেশের চেষ্টা। তবে বিশৃঙ্খলা ও প্রাণহানির ঘটনায় কারও গাফিলতি খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) ও এস এম মোস্তাইন হোসেন ওই তিনটি কারণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করার কথা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় নিশ্চিত করেন। রাতেই তদন্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে জমা দেবেন বলেও জানান তিনি।

‘চট্টলবীর’ হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি উপলক্ষে গত সোমবার নগরের ১৪টি কনভেনশন ও কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করা হয়। জামালখান এলাকার রীমা কনভেনশন সেন্টার বরাদ্দ ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য। ওই দিন হুড়োহুড়ি করে প্রবেশের সময় ১০ জন পদদলিত হয়ে মারা যান। এই ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং নগর পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পুলিশের তিন সদস্যের কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার জসিম উদ্দিন এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার কাজল কান্তি চৌধুরী।

পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, রীমার পশ্চিম দিকের ফটক অপ্রশস্ত এবং প্রবেশপথ ঢালু। ফটকটির নির্মাণেও ত্রুটি রয়েছে। সেদিন হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি ঘটে রীমায়। দুর্ঘটনার আগে ফটক বন্ধ ছিল। খোলার সময় হুড়োহুড়ি করে হাজারো মানুষ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ কারণেই পদদলিত হয়ে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বেশ কিছু সুপারিশ তাঁরা প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে অন্যতম রীমার সরু ও ঢালু প্রবেশপথের ত্রুটি সারানোর কথা বলেছেন তাঁরা।

রীমা কনভেনশন সেন্টারে সোমবার ৭ হাজার ৩০০ লোকের জন্য মেজবানের আয়োজন ছিল। দুর্ঘটনার আগমুহূর্তে তিন ব্যাচে ২ হাজার ২০০ লোক খেয়ে বের হয়ে যান। চতুর্থ ব্যাচের লোকজন ঢোকার সময় পদদলনের ঘটনা ঘটে। এরপর আরও কয়েক ব্যাচ লোকজনকে খাওয়ানো হয়। কিন্তু সেদিন ১ হাজার ৮০০ লোকের খাবার উদ্বৃত্ত থেকে যায় বলে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে।

 

 

 

Pr/A/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে