ডেস্ক রির্পোটঃ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে দেশব্যাপী নির্মিয়মান ২৮টি হাইটেক ও আইটি পার্কে প্রায় ৩ লাখ চাকরি সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে।

আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বাসসকে বলেন, ২৮টি পার্কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে আইটি শিল্পের জন্য ২৮ লাখ ৭২ হাজার বর্গফুট স্পেস গড়ে উঠবে। এতে প্রায় ৩ লাখ মানুষের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
নির্মাণাধীন পার্কগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রাজধানীর কাওরান বাজারে ২০১৫ সালে চালু হওয়াজনতা টাওয়ার টেকনোলজি পার্কে ১৫টি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আইটি কোম্পানি এবং ৫০টি প্রারম্ভিক কোম্পানি বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় স্পেস পেয়েছে।

যশোর চলতি মাসে উদ্বোধনকৃত শেখ হাসিনা টেকনোলজি পার্কে বিদেশীসহ মোট ৪১টি কোম্পানি প্রয়োজনীয় স্পেস পেয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনতা টাওয়ারের প্রারম্ভিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি বেসরকারি টেলিকম অপারেটরের মাধ্যমে বিভিন্ন সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগসহ বিনামূল্যে স্পেস দেয়া হয়েছে। তাদেরকে মেনটরিং সহায়তাও দেয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ১৫ তলাবিশিষ্ট ভবনে আন্তর্জাতিক ৩-স্টার মানের আবাস, ব্যায়ামাগার, ক্যান্টিন ও এ্যাম্ফিটিয়েটার ও ৩৩ কেভিএ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ১২তলা ডরমেটরি নির্মিত হয়েছে।
আইসিটি বিভাগের মুখপাত্র মো. আবু নাছের বলেন, সরকার ৩ হাজার ৫৩০ জনের চাকরির সংস্থানের জন্য ১২টি সংস্থা ও বেসরকারি ইন্সটিটিউটকে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হিসেবে ঘোষণা করেছে।

এসব পার্কও সরকারি হাই-টেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মতো সুবিধা ভোগ করবে। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ পর্যন্ত এ পার্কে ৯টি কোম্পানিকে স্পেস বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু সিলিকন সিটি ও সিলেট ইলেকট্রোনিক্স সিটির নির্মাণ কাজ প্রর্ণোদমে চলছে।

এছাড়া, ১২ জেলায় আইট-হাইটেক পার্ক এবং ৭টি স্থানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনক্যুবেশন সেন্টার নির্মাণেরও কাজ চলছে।

 

 

 

B/S/S/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে