ডেস্ক রিপোর্টঃ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট’ সমাধানে আন্তর্জাতিক আইনের পূর্ণ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন,আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘণ করেও নিরাপত্তা পরিষদের কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপের অভাবে জাতিসংঘের কোন সদস্য রাষ্ট্র কৃত অপরাধের দায় থেকে যাতে মুক্তি না পায় সে বিষয়ে জাতিসংঘেরই খেয়াল রাখা দরকার।মাসুদ বিন মোমেন গত ১৭মে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনকে সমুন্নত রাখা’ শীর্ষক উন্মুক্ত বিতর্কে বক্তব্য উপস্থাপনকালে একথা বলেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, ‘এটি সর্বজন স্বীকৃত যে রোহিঙ্গাদের উপর সৃষ্ট সহিংস অপরাধের বিচার ও দায়ভার নির্ধারণের প্রশ্নে বিশেষ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনার যাকে ‘জাতিগত নির্মূলের টেক্সবুক উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বপ্রণোদিত প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরির সাথে একই সূত্রে গাঁথা।’
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদল সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরকালে রোহিঙ্গাদের যে ভয়াবাহ মানবিক বিপর্যয় চাক্ষুষ করেছেন তার উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি এই সঙ্কটের সমাধানে আন্তর্জাতিক আইনের পূর্ণ ব্যবহার করারও আহ্বান জানান। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত এই অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরষিদের কাছে ন্যায় বিচার ও দায়বদ্ধতা নিরূপণের জন্য যে জোরালো আবেদন জানিয়েছেন তা নিরাপত্তা পরিষদ বিবেচনা করবে বলেও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ‘মে মাসের সভাপতি’ পোলান্ডের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশসহ ৭৫টিরও বেশী দেশের রাষ্ট্রদূত/প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সভায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সেফ দ্য কেবিনেট মিজ্ মারিয়া লুইজা রিবিরো ভিয়োট্টি, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিজের সিনিয়র বিচারক ও প্রেসিডেন্ট এমিরিটাস হিসাশি ওয়াদা এবং ইন্টারন্যাশনাল রেসিডুয়াল মেকানিজম ফর ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনালসর্’ প্রেসিডেন্ট বিচারক থিয়োডোর মেরোন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বক্তারা আন্তর্জাতিক আইনকে জাতিসংঘের ‘হৃদয়’ বলে অভিহিত করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংসতা রোধ, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং স্থায়ী শান্তি বিনির্মাণে আন্তর্জাতিক আইনের যথাযথ প্রয়োগের কোন বিকল্প নেই বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
B/S/S/N.