আজিজ খান, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কায়স্তগ্রাম কুসুমবাগের জাকারিয়া হোসেন নামের এক যুবকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর সভা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় কায়সগ্রামের কুসুমবাগে ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন এর বাড়িতে বিশিষ্ট মুরব্বি খিজির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সমাজসেবক শামীম আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ত্রাসী হামলায় আহত জাকারিয়া হোসেন (১৮) উপজলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কায়সগ্রামের কুসুমবাগের মৃত নজরুল হোসেনের ছোট ছেলে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- ফুলবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনা, হেতিমগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মালিক, সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ সেলিম, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম হুসেন সাইস্তা মিয়া, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন সোনা মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজি এনায়েত হুসেন এনাম, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাইল আলী, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ চয়েস, মাখন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ইসরাব আলী, সমাজসেবী রেদোয়ান হুসেন, সমাজসেবী মাসুদ আহমদ।
সভায় বক্তারা বলেন, গত ২৯ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মটরসাইকেল যোগে হেতিমগঞ্জ থেকে বাড়ি ফেরার পথে জাকারিয়া হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্য ছুরি দিয়ে মারাত্বক আহত করে একই ইউনিয়নের কায়সগ্রামের নাশাগঞ্জ (ফসারী বাড়ি) গ্রামের জয়নাল উদ্দিনের পুত্র আবুল কাশেম শান্ত। জাকারিয়ার সাথে থাকা তার বন্ধু মাহিদও এই হামলায় আহত হয়। আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বক্তারা আরো বলেন, এলাকায় এভাবে কেউ অতীতে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র ছুরি সাথে নিয়ে ঘুরেনি। এসকল সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ। এভাবে যদি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলতে থাকে তাহলে এলাকায় আরো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে। এলাকাবাসী এই ঘটনার সাথে জড়িতের শাস্তি ও গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান।
প্রতিবাদ সভায় এছাড়া উপস্থি’ত ছিলেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক…ষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালিক, আব্দুল বাছিত চৌধুরী, মো.ছওয়াব হোসেন, মুক্তা মিয়া, বশির আহমদ, আখতার আলী, আব্দুল আজিজ সুনা মিয়া, সেলিম আহমদ, কমর উদ্দিন কমই, জয়নাল মিয়া, শিক্ষক আব্দুল আজিজ বাবুল, সমাজসেবক লায়েক আহমদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক মনসুর হোসেন মুন্না, দুলাল আহমদ, সিরাজ আহমদ, আবুল কালাম, আশরাফ হোসেন শাফি, শাহান আহমদ, মাহফুজ হোসেন নাছের, মাহদি হোসেন, খালেদ আহমদ, শাকের আহমদ, মামুন আহমদ, মাসুদ আহমদ, আওলাদ হোসেন মাসুম, মো.শায়েক আহমদ প্রমুখ।
জানা যায়, গত ২৯ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মটরসাইকেল যোগে হেতিমগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আহত জাকারিয়া হোসেন ও কিছমত মাইজভাগ (জজ বাড়ী) গ্রামের সাদ উদ্দিন চৌধুরী’র পুত্র মাহদি হোসেন এবং কিছমত মাইজভাগ গ্রামে মইন উদ্দিনের পুত্র এনাম আহমদ।
এসময় তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে কায়স্গ্রাম নাসাগঞ্জ (ফসারী বাড়ি) গ্রামের জয়নাল উদ্দিনের পুত্র আবুল কাশেম শান্ত (১৯)। এসময় সে মাহদি হোসেনকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর ও ছুরি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে। তাকে বাঁচাতে জাকারিয়া হোসেন এগিয়ে আসলে তার দুনো হাতে ছুরি দিয়ে মারাত্বক জখম করে এতে তার দুই হাতের রগ কেটে যায়।
তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী ঘটনাটি দেখে এগিয়ে এলে আবুল কাশেম শান্ত পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় জাকারিয়া হোসেন ও মাহিদ হোসেনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় জাকারিয়া হোসেনের বড় ভাই মাহফুজ হোসেন নাছের গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং-২/ ০২.০৬.২০২১ইং) দায়ের করেন।