স্টাফ রিপোর্টারঃ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষরা। এতে বাধা দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে নারীসহ ৭ জন আহত । ঘঁটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের পানিয়ালপুকুর জুম্মাপাড়া গ্রামে।
আহতদের কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে নারগিছ আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধুর অবস্থা আশংঙ্খাজনক হওয়ায় কত্যর্বরত ডাক্টার তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
সরেজমিনে ও মামলার এজাহার সূত্রে, জানা গেছে, নিতাই ইউনিয়নের পানিয়াল পুকুর জুম্মাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আ ন ম রুহুল ইসলামের পৈতিৃক সূত্রে পাওয়া ১ একর ৮ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু একই ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া গ্রামের মৃত খেরু মামুদের পুত্র আনোয়ার হোসেন গংরা ওই জমির ৪৫ শতাংশ নিজেদের দাবি করে জবর দখলের চেষ্টা করে। এ ঘঁটনায় রহুল আমিন আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ২১৬/২০২১। আদালত শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করে ।
আনোয়ার গংরা আদালতের আর্দেশ অমান্য করে গত ৮ জুলাই আবারো ওই জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। এতে রহুল ইসলামসহ তাঁর লোকজন বাঁধা দিলে গেলে তাদের উপর প্রতিপক্ষরা হামলা করে। এ সময় ৫ জন আহত হয়। এ ঘঁটনায় রহুল ইসলাম গত ১০ জুলাই আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নামে থানায় একটি মামলা করে। ওনদিনই পুলিশ আনোয়ার হোসেন, সোহাগ মিয়া, মাহাবুল ইসলাম ও আব্দুল খালেককে গেফতার জেল হাজতে পাঠায়। আসামীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত ১১ জুলাই বিকাল ৬ টারদিকে পূর্ণরায় ওই জমিতে গিয়ে মামলার স্বাক্ষীসহ ৭জনকে পিটিয়ে গুরুত্বর রক্তাত্ব জখম করে। আহতরা হল জোহরা বেগম(৬০) , নারগিছ আক্তার(২২) আরজু বেগম (২৫) রেবেকা সুলতানা(৫৫) গাউছুল আজম(২০) নাইম ইসলাম(১৮) লিসা বেগম(১৬) ।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল ঘঁটনার বিষয় স্বীকার করে বলেন, জমি নিয়ে সংঘর্ষের মামলায় আনোয়ার হোসেনসহ চার আসামীকে গ্রেফতার করে ১০ জুলাই নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করি। কিন্তু তারা ১১ জুলাই জামিনে এসে আবারো বাদিপক্ষের উপর হামলা করে