স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ব্যতিক্রম উপজেলা হিসাবে স্বীকৃতি করে দিলেন ওসি আব্দুল আউয়াল।
এর আগে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান মানুষ হিসাবে আমরা পেয়ে ছিলাম একজন ব্যাক্তিকে তিনি হলেন ইউএনও সিদ্দিকুর রহমান। যার নামটি আজও সকলের মনে নারা দেয়। তিনি আমাদের এই উপজেলাকে সারাদেশের মধ্যে প্রথম ভিক্ষুক মুক্ত উপজেলা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন।
ঠিক তেমনি একজন সৎ,নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী, একজন ওসি আব্দুল আউয়াল। যার মাঝে কোন লোভ লালশা নেই। তিনি তার জীবনে দু-দুবার বাংলাদেশ থেকে মিশন করে ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জের মানুষ কে বিপদ মুক্ত এলাকা হিসাবে সারাদেশে মধ্যে প্রথম সি সি ক্যামেরার আওতায় আনছেন কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে।
তবে হ্যাঁ আমি একটি জিনিস আমরা সবাই বিশ্বাস করি। ইতিহাস কেউ তৈরি করতে পারে না। এটা আল্লাহ্ প্রদত্ব বাকিটা মানুষের চেষ্টা। যা ওসি আব্দুল আউয়াল শত কাজের মাঝেও তিনি কিশোরগঞ্জের মানুষের জন্য ভাবতেন। যার ফলস্রুতিতে এখন থেকে আমরা কিশোরগঞ্জ বাসী নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবো।
একটা কথা না বল্লেই নয় তা হল মানুষ চেষ্টা করলে অনেক কিছু করতে পারে। আল্লাহ্ তাকে সাহায্য করেণ, এটাই তার বাস্তব উদাহরণ। শত ব্যস্থতার মাঝেও তিনি আমাদের নিয়ে ভাবতেন। তিনিতো আর এখানে থাকবেন না থাকলেও বা কত দিন। কিন্তু তার দেয়া কাজক্রম কিশোরগঞ্জ বাসী ভোগ করবে সারা জীবন। শান্তিতে চলাফেরা সহ যাবতীয় কর্মকান্ড করতে পাড়তে।
মানুষের মনে মনে রেখে গেলেন তার নামটি। কারণ এই উপজেলায় অনেক ওসি এসেছে আবার চলেও গেছে। তারা কখনও এভাবে ভাবেনি তাদের আখের গুছাতে ব্যস্থ ছিলেন। তাদের কথা বাদ দিলাম অনেক কোটিপতি লোক ও এই উপজেলায় আছেন। তারা কখন ভাবেনি যে আমাদের উপজেলায় কি করা যাবে। তারা শুধু নিজের টা নিয়েই ব্যাস্থ। অন্যের কি হবে না হবে তাদের কোন মাথা বেথা নেই। তাই একটি কথাই বললো ওসি আব্দুল আউয়াল নিজের নয়, পুরোটাই অন্যের উপকারের জন্য আল্লাহ্ তাকে জন্ম দিয়েছেন।এ জন্য তাকে লক্ষ কোটি বার সেলুট জানাই। ওসি আব্দুল আউয়াল যা আমাদের দিয়ে যাচ্ছেন তা আমরা কিশোরগঞ্জ বাসী যুগ যুগ ধরেও ভুলতে পাবে না। যতদিন তিনি জীবনে বেঁচে থাকবেন ততদিন ওসি আউয়াল নামটি স্বার্ণঅক্ষরে লেখা থাকবে কিশোরগঞ্জের ইতিহাসে। ইউএনও সিদ্দিকুর স্যারের মত। যা মানুষ এখনো ভুলতে পারেনি
এ ব্যাপারে ওসি আব্দুল আউয়ালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন সবাইতো কিছু না কিছু করেন। তাই আমি চলে যাব একদিন কিন্তু আমার নামটি যেন মনে রাখে কিশোরগঞ্জ বাসী। আমি কিশোরগঞ্জ থানায় অফিসার ইনর্চাজ হিসাবে ০৮/০৮/২০২০ইং এ যোগদান করি। তার পর থেকে শুরু হয় আমার পরিবর্তনের ইচ্ছা। আমি অফিসার ইনর্চাজ হিসাবে যোগদানের পর, প্রথমে নিজের থানা চত্বরকে পরিপাটি সহ বিভিন্ন বরিবর্তন করার কাজ করি। প্রথম কিশোরীগঞ্জ থানায় নো পার্কিং,পরিদর্শনার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা, সংরক্ষিত এলাকা, পুরো থানা চত্বর ফুলের ও ফলের গাছ গাছালি দিয়ে সুসজ্জিত করছি। থানা চত্বরে একটি শাপলা ঝর্ণার চারিদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থানের ছবি দিয়ে তা সুসজ্জিত করবো। আমি একটি লাশ রাখার জন্য হীমঘর তৈরি করেছি তা দেশের মধ্যে আমার জানা মতে, প্রথম হিসাবে স্থান পাবে।