Kishorgonj

স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জে অপ্রাপ্ত মেয়েকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে যৌতুকের টাকার জন্য অত্যাচার করেছে তার স্বামী খাদেমুল ইসলাম। উপজেলার ৪ নং ওয়ার্ডের সিট রাজিব মাস্টার পাড়া গ্রামে লুৎফর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়  করোনা কোভিট -১৯ এর সময় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়। শাহানুরি(১৪) পিতাঃ জোনাব আলী গ্রামঃ কাচারি শাহপাড়া ইউপিঃ নিতাই। শাহানুরি যে এস সি পরীক্ষা দেয় তার পর থেকে করোনা কোভিট -১৯ এর প্রদুভাব দেখা দিলে ঢাকায় গার্মেন্টেস এ কাজ করার জন্য ঢাকায় তার বোন লায়লা ও চাচাতো বোন মিস্টির কাছে ঢাকা জিনানিতে থাকতে যায়। কারণ তারা চার বোন পারিবারিক সমস্যা থাকার কারণে গার্মেন্টসে কাজ করতে যায়। কাজ করতে গিয়ে সেখানে কিশোরগঞ্জ সিট রাজিব মাস্টার পাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে খাদেমুল শাহানুরিকে সব সময় বিরক্ত করত, প্রেমের প্রস্তাব দিত, এভাবে কয়েক মাস কেটে যায়। এক পর্যায়ে শাহানুরির সাথে খাদেমুলের প্রেমের সম্পর্ক হয়। খাদেমুল মেয়েটাকে ফুসলিয়ে ২০২০ সালের আক্টোবর মাসে ভুয়া কাবিন দেখিয়ে বিয়ে করে তারা ঢাকায় সংসার পাতে দু’জনে। 
শাহানুরি নিতাই ইউনিয়নের কাচারী মাহাতাবিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত, কোরোনা কোভিট -১৯ এর কারণে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় বোনের কাছে ঢাকায় যায়। 
পরবর্তীতে মেয়েটির বাবা-মা জানতে পাড়ে শাহানুরি বিয়ে করেছে। গরীব মানুষ তাই তার বাবা-মা বাধ্য হয়ে তাদের বাল্য বিয়েটা মেনে নেয়। গত ঈদ-উল আযহার আগে শাহানুরি ও খাদেমুল বাড়িতে বেড়াতে আসে। শাহানুরির বাবা জানতে পেড়ে খাদেমুলের বাড়ীতে ঈদের পরের দিন দাওয়াত দেয়ার জন্য গেলে তাদেরকে গলা ধাক্কাদিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। তখন নিরুপায় হয়ে শাহানুরির বাবা কিশোরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিশোরগঞ্জ থানা পূলিশ ছেলে ও মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে  এখন  ছেলেটি মেয়ের বাবার কাছে যৌতুক দাবি করে। মেয়ের বাবা টাকা দিতে অস্কৃতি জানায়। তখন খাদেমুল ও তার পরিবারের লোকজন মেয়েটির উপর পাশবিক অন্যায় অত্যাচার চালাতে থাকে। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দৃল আউয়াল বলেন,যেহেতু তারা বিয়ে করেছে তাই পারিবারিক ভাবে বিষয়টি দেখার জন্য দু’পক্ষকে দু’জন ব্যাক্তিকে দায়িত্ব দেন যাতে বিষয়টি বাড়াবাড়ি না হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে