আজ (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি যথাযথভাবে পালন করা হবে। এবারে দিনটির প্রতিপাদ্য ‘লিটারেসি ফর হিউম্যান-সেন্টার্ড রিকভারি: ন্যারোয়িং দ্য ডিজিটাল ডিভাইড’।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২০ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে আগের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বাড়লেও এখনও প্রায় ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। দিনটি উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, গোলটেবিল বৈঠক, বাংলাদেশ টেলিভিশনে টক-শো করা হবে। এছাড়া দেশের প্রত্যেক জেলা প্রশাসক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা করবেন। ঢাকা প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রধান অতিথি থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম।
দিনটি উপলক্ষে গত সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও বর্তমানের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করেছে। শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে স্বাক্ষর জ্ঞানদান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতাসৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন করেছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করেন। সাক্ষরতা বিস্তারে আন্তর্জাতিক ফোরামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশে প্রথমবারের মতো সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়।
RtV/N