কাওছার হামিদ, নিজস্ব প্রতিবেদক: চলবে না আর ধোকাবাজী দূর্নীতির দিন হইছে শেষ, শেখ হাসিনা গড়ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ” পেশায় একজন ডাক্তার হলেও সংগীত জগতে রয়েছে যার অনেক অবদান।
তিনি হলেন এসো গান শিখি সংগীত একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডাঃ আব্দুল হামিদ। তার লেখা ডিজিটাল বাংলাদেশ ও বহুমুখী পদ্মা সেতু নিয়ে দুটি গান মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে।
তার সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে বেড়িয়ে এলো তার পিছনে ফেলে আসা অনেক গল্প। ৮ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন একটু ব্যতিক্রম এবং ছোটবেলা থেকে ছিল তার সংগীতের প্রতি নেশা।
১৬ বছর বয়সে রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার খলেয়া গঞ্জিপুর “কচি কন্ঠের আসর” এর প্রতিষ্ঠাতা সাদামনের মানুষ সংগীত শিল্পি হারুন অর রশিদ এর কাছ থেকে হাতেখরি এবং হারমোনিয়াম বাজানোর উপর তালিম নেন।
তার পর থেকে পেছনে আর তাকাতে হয়নি তাকে, হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে গিয়ে সংগীতকে তিনি মনের খোড়াক হিসেবে বেচে নেন।
বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র ও মেধাবী ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ার পাশা পাশি সংস্কৃতি চর্চার কথা চিন্তা করে ১৯৯৫খ্রিঃ প্রতিষ্ঠা করেন “এসো গান শিখি সংগীত একাডেমী” নামে একটি সংগীত প্রতিষ্ঠান।
যার অবস্থান মাগুড়া চেকপোষ্ট, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী। তার পর থেকে শুরু হলো নতুন করে পথ চলা। এলাকার প্রতিভাবান ছেলে-মেয়েদের ধরে নিয়ে এসে নিজস্ব অর্থায়নে গান শেখাতেন।
তিনি, পল্লী চিকিৎসকের পাশা পাশি সংগীত শিক্ষক হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেন। তার হাতে গড়া শিল্পি মুন্নাতারা মিনি, শিমু আক্তার, শিরিন আক্তার, মানিক চন্দ্র রায়, মিতালী রানী সরকার, হাবলু মিয়া, বনিতা রানী রায়, শাপলা আক্তার, সুমি আক্তার, নুরজাহান আক্তার মিশি, লিটন মিয়া, সহ একাধিক শিল্পি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায় জায়গা দখল করে নেয়।
এমনকি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে পা রাখেন। তার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠিত শিল্পির মধ্যে মধ্যে রেহানা আক্তার রানী এবং পুতুল রানী রায় উল্লেখ যোগ্য।
শিল্পি রেহানা আক্তার রানী ও পুতুল রানী রায় এখন বিটিবিসহ দেশের বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেল গুলোতে নিয়মিত গান করেন।
তার রচিত ভাওয়াইয়া সংগীত “আব্বাস তোমার ভাওয়াইয়া গান”,এছাড়াও লিখেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে গান চলবে না আর ধোকাবাজী দূর্নীতির দিন হইছে শেষ, শেখ হাসিনা গড়ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ” পদ্মা সেতু নিয়ে নতুন একটি গান ইদানিং ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ হয়েছে, গানটির শিরোনাম “বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ভাই উন্নয়নের কাজ করছে সদাই, বাংলাদেশকে উন্নত করবে এটাই তাহার কামনা বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর নেই যে তুলনা” সহ একাধিক মৌলিক গান লিখেছেন। কিন্তু এই সাদা মনের মানুষটি এখন আর ভালো নেই , ব্রেনষ্টোক করে একটি হাত ও একটি পা দুর্বল হয়ে যায়, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কেউ তার খবর নেয়নি এবং পাশে এসে কেউ দাড়ায়নি।
ফলে অসুস্থ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করেন তিনি। বিগত দিনে একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সংগীত একাডেমীটিতে পর পর ২বার চুরি সংঘটিত হয়, হারমোনিয়াম তবলা সহ একাধিক যন্ত্র নিয়ে যায়।
সেই থেকে নতুন কোন যন্ত্র ক্রয় করা সম্ভব হয়নি, অর্থের অভাবে পুরাতন জরাজীর্ণ যন্ত্র দিয়ে কোন রকম সংগীত চর্চার কাজ চলছে।
নানা প্রতিকুলতার মাঝেও সংগীত চর্চা থেকে পিছপা হননি তিনি। বৈবাহিক জীবনে তিনি দুই মেয়ে, এক ছেলের জনক।
ছেলে নাহিদ হাসান কাজল একটি কোম্পানিতে কর্মরত এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনে পরিচালিত কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সংগীত শিক্ষ
ক হিসেবে কাজ করছেন।
নীলফামারী জেলাধীন কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া মাস্টারপাড়া গ্রামে ১৯৬৬ সালে জন্ম গ্রহন করেন এই গুনি সংগীত শিক্ষক, ১৯৮১ সালে মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন তিনি।
প্রয়াত পিতা কফুর উদ্দিন তৎকালিন এলাকার একজন সুনামধন্য ডাক্তার হিসেবে খ্যাতি ছিল। একান্ত সাক্ষাতকারে এই গুনি সংগীত শিক্ষক বলেন আমি বেঁচে থাকা কালিন আমার সৃষ্টিকর্মের মুল্যয়ন করা হউক।
তাই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দে
শরতœ মাননীয় প্রধান মন্ত্রির দৃষ্টি আর্কষন করছেন এই গুনি সংগীত শিক্ষক।