বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশ্বচোরদের মুখপাত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা প্রবাদের মতো এখন বিশ্বচোরদেরও গলা বড়। বিএনপি দেশকে চারবার একক ও একবার যৌথভাবে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বানিয়ে বিশ্বচোর উপাধি পেয়েছিল। শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা হচ্ছে, এখন সেই বিশ্বচোরদের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব।’

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। এসময় বিএনপি মহাসচিবের ‘সরকার রিজার্ভ গিলে খেয়েছে’ বলে দেওয়া বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির শাসনামলে ‘হাওয়া ভবন’-এ বসে জনগণের টাকা গিলে খাওয়া হতো অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি নেতারা) হাওয়া ভবন বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন তো আসলে খাওয়া ভবন ছিল। কারণ জনগণের টাকা ওখানে খাওয়া হতো। হাওয়া ভবনে বসে জনগণের সব ব্যবসা ও প্রজেক্টের ওপর টোল বসিয়েছিল এবং জনগণের টাকাটাই গিলে খেতো তারা। যারা জনগণের টাকা আগে গিলে খেয়েছে, তারা শুধু খাওয়ার কথাটাই চিন্তা করে বলে ফখরুল সাহেব গতকাল এমন বক্তব্য দিয়েছেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির শেষ সময় ২০০৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ সাড়ে তিন বিলিয়নেরও কম। আমাদের নেত্রী, বর্তমান সরকার সেটি ৪৪ বিলিয়নে উন্নীত করেছেন। এখন বিশ্ব পরিস্থিতি, নানা ধরনের ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ এবং রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে বিশেষ তহবিল গঠনের কারণে তা ৩৭ বিলিয়নে নেমে গেছে। এরপরও বিএনপির সময়ের তুলনায় ১২ গুণ বেশি রিজার্ভ রয়েছে।’

খুলনার পর বিএনপির রংপুর ও বরিশালের সমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে তো পরিবহন মালিক-শ্রমিক সবাই চেনে। কারণ ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি পরিবহনের ওপর পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। তারা শত শত গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, মানুষ হত্যা করেছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা শঙ্কিত। এজন্য এখন বিএনপি যেখানেই সমাবেশ ডাকে, সেখানেই তারা ধর্মঘট ডাকছে।’

ধর্মঘট ডাকা মালিকদের মধ্যে যে বিএনপির নেতারাও আছেনে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পরিবহন মালিকদের নেতা এবং সমিতির সদস্যদের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন দলেরই মানুষ আছে। শিমুল বিশ্বাস বাবু তো পরিবহন নেতা, তিনি তো বিএনপি করেন। ওনারাই তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধর্মঘট ডাকার।’

তিনি বলেন, ‘সুতরাং বিএনপি ঘরানার পরিবহন মালিকরাও শঙ্কিত এবং তারা কেউই যাতে বিএনপির অপরাজনীতির শিকার না হন, সেজন্য সবাই মিলেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে