কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: পুরো নাম জাহানুল আলম (মুকিত) প্রাথমিকের গন্ডি পার হতেই না হতেই বাবা জাহাঙ্গীর আলম পৃথিবী মায়া ত্যাগ করে চলে যান পরপারে।
বাবার আদর-¯েœহ কতটুকু পেয়েছে হয়তো বা তার মনে নেই। এখন তার অনেক কিছু বোঝার ক্ষমতা হয়েছে। সেই দিক থেকে মুকিত বল্লেন বাবা বেঁচে থাকলে আরো বেশি খুশি হতো।
বাবা না থাকলে কি হবে, মা লাকী পারভীন ছেলের পড়াশুনার ব্যাপারে ছিলেন কঠিন মনোযোগি,যে কোন বিনিময়ে ছেলেকে মানুষ করতে হবে এটাই ছিল তার স্বপ্ন। ১০ জুলাই ২০২৫ এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে নীলফামারীর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৯৯ নম্বর পেয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন জাহানুল আলম (মুকিত)।
পারিবারিক সূত্রে জানা জানাগেছে তার বাবার মৃত্যুর পর মা এবং এক বোনসহ স্বপরিবারে চলে আসেন নানা আলহাজ্ব একাব্বার হোসেনের বাড়িতে।
মা লাকী পারভীন নানা দিক চিন্তা করে ভর্তি করে দেন মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রথম থেকেই তার ফলাফল ছিল সাফল্যজনক। মা লাকী পারভীন ছেলের পড়াশুনার ব্যাপারে একটুও কমতি করেননি। বাবার বাড়ী রনচন্ডী এলাকা থেকে শুরু করে মাগুড়া তালপাড়া নানা বাড়ি এলাকার লোকজন তার সাফল্য জনক ফলাফলে খুশি হয়েছেন।
জাহানুল আলম (মুকিত) সে জানায় আমার ভাল ফলাফলের পিছনে মায়ের অবদান অপরসীম মা না হলে হয়তো বা আমি এতোদুর এগুতে পারতাম না।
এছাড়া মামা, মামানি এবং স্কুল শিক্ষক সবাই আমাকে নিজের ছেলের মতো করে দেখতো আমি স্যারদের জন্য দোয়া করি আমাকে স্যাররা যতেষ্ট ভালবাসতো। তার অনুভূতি জানতে চাইলে সে জানায় আমি বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। আগামী দিনে দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই আমার আশা যেন মহান আল্লাহতায়ালা পুরন করেন।