খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) বাজেট স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্যাট্রন-ইন-চিফ ইমরান খান। তার এই নির্দেশ প্রাদেশিক সরকারের জন্য একটি গুরুতর সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
সূচি (শিডিউল) অনুসারে, খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজেট ২৪ জুনের মধ্যে অনুমোদিত হতে হবে। চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে তা করতে ব্যর্থ হলে গভর্নর মুখ্যমন্ত্রীকে আস্থা ভোটের শিকার বানাতে পারেন। এমনকি সংবিধানের ২৩৪ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রেসিডেন্টকে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করার পরামর্শও দিতে পারেন।
সরকার অচলাবস্থা নিরসনের জন্য সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এদিকে কারাবন্দি ইমরান খান বাজেট সম্পর্কে কেপির মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর, অর্থ উপদেষ্টা মুজ্জাম্মিল আসলাম ও অন্যান্য অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তবে আদিয়ালা কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কেবল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে।
জবাবে পিটিআই নেতা কঠোর নির্দেশ জারি করে বলেন, অর্থ উপদেষ্টাদের সঙ্গে পূর্ণ পরামর্শ ছাড়া কোনো বাজেট অনুমোদন করা যাবে না।
যদিও কেপি বিধানসভায় ইতোমধ্যেই বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী গান্দাপুর তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, দলীয় প্রধানের স্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া বাজেট পাস করা হবে না।
অন্যদিকে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন, ৩০ জুনের মধ্যে বাজেট পাস না হলে এটি সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
এমন পরিস্থিতিতে গর্ভনর ২৩৪ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করতে পারেন এবং প্রেসিডেন্টকে আর্থিক ও সাংবিধানিক উভয় সংকটের কথা উল্লেখ করে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করার পরামর্শ দিতে পারেন।
jug/N