কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীল ফামারীর কিশোর গঞ্জ উপজেলায় দিন দিন বেড়েই চলছে তামাকের চাষ। লাভজনক হওয়ায় এখানকার চাষীদের তামাক চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে অনেকের ধারণা। তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ক্ষেত্রে আইনি বাঁধা থাকলেও লাভজনক হওয়ায় ফসলি জমি নুতন করে তামাক চাষ যুক্ত হচ্ছে। কিশোর গঞ্জ উপজেলায় এ বছর ২০৫'০ হেক্টর জমিতে তামাকচাষ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে মাগুরা,গাড়াগ্রাম,রনচন্ডি,বড়ভিটা ও চাঁদখানা ইউনিয়নে তামাক চাষ হয়েছে। মাগুরা ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে অপেক্ষাকৃত বেশি জমিতে তামাক চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে মাগুরা ইউনিয়নের চাষী সামসুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান তামাক কোম্পানির লোকেরা আমাকে তামাক চাষের জন্য আগাম বীজ সার ও নগদ টাকাসহ অন্যান্য উপকরণ দিয়েছে এবং তামাক ক্রয়েরএবং লাভজনক মূল্যে তামাক ক্রয়ের নিশ্চয়তা দিয়েছে। আমি তিন বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছি আশা করছি এবার লাভ বেশি হবে। একই ইউনিয়নের সফিকুল ইসলাম
৩৩ শতক জমিতে তামাক চাষ করেছেন। অন্য ফসল চাষ না করে তালাক কেন চাষ করলেন ? তিনি বলেন অন্য ফসলে খরচ লাগে বেশী তামাকে খরচ কম লাভ বেশী তামাক কাটার পর ওই জমিতে ইরি ধান লাগাব।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলমের সাথে সাক্ষাতে কথা হলে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাগণ তামাক চাষের ক্ষতির দিকগুলো অবহিত করে তামাক চাষ থেকে বিরত রাখতে চাষীকে পরামর্শ দিয়ে আসছে। তবে তামাকজা পণ্য উৎপাদনকারী ব হুজাতিক কোম্পানিগুলোর মাঠপর্যায়ের প্রতিনিধিরা চাষীদেরকে আগাম বীজ সার ও অন্যান্য উপকরণশহ নগদ টাকা দিয়ে এবং আবাদকৃত তামাক লাভজনকমূল্যে ক্রয়ের নিশ্চিয়তা দেয়ায় চাষীরা তামাক চাষ থেকে সরে আসছে না।
এরপরও তামাক চাষ থেকে চাষীকে বিমূখ করার জন্য উচ্চমূল্যের লাভজনক ফসল চাষে কৃষককে পরামর্শ দিয়ে আসছে। তামাক চাষ সম্পূর্ণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি আশাবাদি যে তামাক চাষীরা খুব শীঘ্রই তামাকচাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। তবে ২০৪০ সালে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সকল সরকারী ও বে সরকারী সংস্থাগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে।