কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: সোনালী আঁশে সোনার দেশ পরিবেশ বান্ধব বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার (১৫ মে২০২৫) অফিসার্স ক্লাব হলরুমে সকালে পাটচাষী প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হক এর সভপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফাতেমা-তুজ-জোহরা উপমা, বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম,জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকতা এ.টি.এম তৈবুর রহমান,উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী, উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে ৭৫জন পাটচাষী কৃষককে পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণের উপর নানা প্রশিক্ষণসহ পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়া ৭৫জন পাটচাষী কৃষককে সম্মানি ভাতাসহ ব্যাগ,খাতা,কলম প্রদান করেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তিতায় বলেন বর্তমান আমরা পাটজাত পন্য ব্যবহারের অভ্যাস্ত নই,আমরা পরিবেশ দূষণকারক পলিথিনে অভ্যাস্ত হয়ে পরেছি তাই সেখান থেকে আমাদেরকে বেড়িয়ে এসে পাটজাত পন্যের উপর বেশী বেশী ব্যবহারে অভ্যাস্ত হতে হবে।
তিনি আরো বলেন একেবারে বন্ধ করা সম্ভব না পর্যায়ক্রমে এটিকে পরিহার করতে হবে, কারন পলিথিন পরিবেশের জন্য মারাত্বক হুমকী আর পাটজাত দ্রব্য নষ্ট হলেও তা পচে গিয়ে জৈব সারে রুপান্তরিত হয়।
বিশেষ অতিথি উপপরিচালক ড. এস.এম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম বলেন পাটকর্তন এবং পচনের প্রচলিত পদ্ধতির উন্নত প্রয়োগ কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী বলেন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে রবি-১ পাটচাষ পদ্ধতি (বীজ সংগ্রহ,জমি নির্বাচন,জমি তৈরী,বীজবপন,সারও বালাইনাশক প্রয়োগ সম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করেন,জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকতা এ.টি.এম তৈবুর রহমান পাট ও পাটবীজ উৎপাদন,সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাটজাত দ্রব্যের কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।