মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ নীলফামারী প্রতিনিধিঃ আজ রবিবার বিকেল ৪ ঘটিকায় মেধাকুঞ্জ বিদ্যানিকেতনে,আদর্শ দেশ প্রেমিক,স্বাধীনতার ঘোষক,বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা,আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি,শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন,কেন্দ্র নির্বাহী কমিটির সদস্য,সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি বিলকিস ইসলাম, কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম তাজুল ইসলাম ডালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইবনে সাঈদ সুজন,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক খায়রুজ্জামান লিমন,উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হক টিপু,উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহ আলম বাবু,যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলু,উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল রানা রাসেল প্রামানিক। আরোও উপস্হিত ছিলেন উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি নাজমা আক্তার,সাধারণ সম্পাদক রোকসানা আফরোজ সাথী,উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল ইসলাম মোর্শেদ,ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক জোবায়েদ ইবনে রুবেল,ছাএদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজাম শাহ,বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ,ছাত্রদলের কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পলাশ ইসলাম,যুবনেতা হাবিবুর রহমান সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন ১৯৩৬ সালের আজকের দিনে জিয়াউর রহমান জন্মগ্রহণ করেন।শৈশব কাল থেকে তিনি ছিলেন মেধাবী ও চতুর। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন সে কারণে যুদ্ধের পর বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে তার যে বিশাল অবদান তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল ২৫ শে মার্চ এর পর বাংলাদেশের মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছিল। তাদের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল, ভেঙ্গে পড়েছিল জনতা এই অবস্থায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। তিনি দেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৭৫ সালেও দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম এ দেশ থেকে মুছে ফেলে দিতে চেয়েছিল কিন্তু পারেননি। জনতার হৃদয়ে জিয়াউর রহমান মিশে আছে।জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন রাষ্ট্রনায়ক,রেশন বিল্ডার,বাঙালি জাতিকে একটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করা তার লক্ষ্য ছিল। তাই আমরা বলতে চাই ফ্যাসিবাদী সরকার পলায়নের পর আমাদের সবার উচিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করা এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পরিশেষে মাওলানা কামরুজ্জামানের দোয়ার মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের পরিসমাপ্তি করা হয়।