কাওছার হামিদ,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)ঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা কোচিং সেন্টারগুলোতে উন্নত মানের সিলেবাস ও কারিকুলাম অনুসরণ করে অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পাঠদান করায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন। যা বিগত কয়েক বছর ধরে কোচিং সেন্টারগুলোতে এমন পাঠদান গ্রহণ করে এসএসসি পরীক্ষায় আকর্ষণীয় সফলতা পেয়েছে শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত সেরা বিদ্যাপীঠসহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লেখাপড়া করা সুযোগ পেয়েছেন। রংপুর কিংবা সৈয়দপুরে নয়,হাতের দোরগোড়ায় গড়ে উঠা কোচিং সেন্টারগুলোতে স্বল্প খরচে,উন্নত শিক্ষার মান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় খুশি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থান পাওয়া সায়মা আক্তারের অভিভাবক আবু বক্কর সিদ্দিক ও ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থান পাওয়া সৃষ্টির অভিভাবক অ্যাপোলো বলেন,আমরা অভিভাবক হিসাবে কোচিং সেন্টারের পক্ষে। বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতিতে কোন ছাত্র-ছাত্রী প্রাইভেট শিক্ষকের ক্লাস ছাড়া পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করা কষ্টকর হতো, সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রত্যেক বিষয়ে প্রাইভেট পড়াতে হয়।প্রতিটি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কোন ছাত্র বা ভালো মানের শিক্ষক দ্বারা প্রাইভেট টিউটর হিসাবে পড়াতে গেলে ব্যয়বহুল হয়ে দাড়ায় যেটি গ্রামের অভিভাবকদের পক্ষে দুস্কর। সেখানে একটি কোচিং সেন্টার সকল বিষয়ে পাঠদানে মাসে দেওয়া হয় ৫শত থেকে ৮শত টাকা। পাশাপাশি রংপুর বা সৈয়দপুরে যাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। হাতের দোরগোড়ায় পাওয়া যাচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। জানা গেছে,উপজেলার উল্লেখযোগ্য কোচিং সেন্টারগুলোর হচ্ছে সৃষ্টি বৈকালীন শিক্ষা কেন্দ্র, ভিক্টোরিয়া স্টাডি হোম, ফ্রেন্ডস টিউটার হোম, জিনিয়াস স্টাডি হোম,বর্ণ স্টাডি হোম, বন্ধন ও ফোকাস। এসব কোচিং সেন্টারগুলো গত ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে উপজেলায় প্রথম স্থান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এবং জেলায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। আরো জানা গেছে,এক উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৩ মে ইউএনও মৌসুমী হক ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালকগণকে জরুরী সভার ডাক দেন। এ সভায় তিনি (ইউএনও) কোচিং সেন্টারগুলো সুশৃংখলভাবে পরিচালনা করাসহ নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জনিত কারণে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ছুটির নির্দেশনা দেন। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে,এসব কোচিং সেন্টার ওই নির্দেশনা যথাযথভাবে মানলেও বড়ভিটাসহ অন্যান্য কোচিং সেন্টারগুলো তা মানছেন না।