কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: মাদ্রাসা ছাত্রী আতোয়ারা আক্তারের ছুরিকাঘাতের মামলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া শাহজালাল (রুবেল)কে নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। কিশোরীগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী শাহজালাল (রুবেল) গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে প্রেরণের পর থেকে ওই এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা ঝড় বইছে অনেকেই বলছে থাকতে পারে প্রেমের সম্পর্ক তাই বলে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি কেউ মেনে নিতে পারছে না।
আবার কেউ বলছে শাহজালাল (রুবেল) একজন ভাল ছেলে সে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না। অপর দিকে মাদ্রাসা ছাত্রী আতোয়ারা আক্তার হাসপাতালে জ্ঞান ফিরার পর সে নিজেই শাহজালাল (রুবেল) এর নাম বলছে। বিষয়টি নিয়ে গোটা মাগুড়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল বলছেন এই ছুরিকাঘাতের ঘটনার সঙ্গে শাহজালাল (রুবেল) সরাসরি জড়িত না তৃতীয় কোন ব্যক্তি এ ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে সঠিক ক্লু বের করার স্বার্থে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের জন্য আমরা জোরদাবী জানাচ্ছি।
সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর দাবী
পিবিআই তদন্তের
মামলা সূত্রে জানাগেছে মামা বাড়িতে বেড়ে ওঠা আতোয়ারা আক্তার মাগুড়া মাজেদাতুননেছা মহিলা মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে পড়াশুনা করার সুবাদে মাদ্রাসা যাওয়া আসার সময় একই গ্রামের সাহাবুল ইসলামের একমাত্র ছেলে শাহজালাল (রুবেল) বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসতো এই প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করায় ঘটনার দিন ৩ মে ২০২৫ইং রাত্রী অনুমান ৩ ঘটিকায় তার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে শরীরে চাকু মারে। এ ঘটনায় আতোয়ারা আক্তারের মামা আশেক আলী বাদী হয়ে ০৩/০৫/২০২৫ইং তারিখে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করেন মামলা নং-০৪।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে এলাকাবাসী প্রতিবেদককে বলেন ঘটনার দিন আতোয়ারা আক্তারের চিৎকারে তার মামাতো বোনরা এবং আতোয়ারা আক্তারের নানি ঘর থেকে বের হয়। প্রতিবেশী আব্দুল খালেক বলেন ঘটনার শোরগোল পরে গেলে আমি বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে যাই, গিয়ে শুনতে পাই চোর গরু চুরি করতে আসছিল। পরে আমি মেয়েটিকে ছুরিকাঘাতের জায়গা গুলো বেধে দেই এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করি সেই সময় শাহজালাল (রুবেল) ও তার পিতা সাহাবুল ইসলামকেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেখতে পাই তারাও এ মেয়েটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন।
পরে তার মামা আজিজুল ইসলাম ড. আসাদুর রহমান কলেজের নৈশ্যপ্রহরী কলেজে ছিলেন তাকে সেখান থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলে আমরা এলাকাবাসী সেখানে উপস্থিত হই প্রথমে বিষয়টি এলাকায় গরু চুরি করতে এসে চোর কর্তৃক ছুরিকাঘাতের কথা শুনতে পাই। পরে শাহজালাল (রুবেল)কে গ্রেফতারের পর ঘটনা ভিন্নখাতে মোড় নেয়। তাই মাদ্রাসা ছাত্রী আতোয়ারা আক্তারের ছুরিকাঘাতের বিষয়টি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের জন্য দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল ও এলাকাবাসী। সঠিত তদন্তে বেড়িয়ে আসতে পারে মাদ্রাসা ছাত্রী আতোয়ারা আক্তারের আসল রহস্য।