পাকিস্তানের ‘বেশ কয়েকটি স্থানে’ বিমান প্রতিরক্ষা রাডার এবং ব্যবস্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারত।
ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা নির্ভরযোগ্যভাবে জানা গেছে যে লাহোরে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
ভারত কীভাবে এই সিস্টেমগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত কিছু বিবৃতিতে বলা হয়নি।
তবে এর আগে পাকিস্তান দাবি করেছে তারা গত রাত থেকে ২৫টি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি স্থানে ‘ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র’ পাঠিয়েছে।
বুধবার (৭ মে) মধ্যরাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির সীমান্তে ভারত অপারেশন সিন্দুর চালানোর পর, দিল্লীর কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে ইসলামাবাদ। এরপর থেকেই আলোচনায় পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
রাশিয়ার ‘এস-৩০০’ এর আদলে বানানো এ প্রযুক্তি পাকিস্তান কিনেছিল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষায় আধুনিকতা আনতে। তবে বাস্তব যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এটি কতটা কার্যকর, ঘুরপাক খাচ্ছে সেই প্রশ্ন।
‘এইচ-কিউ-নাইন’ মিসাইল সিস্টেম এমন এক ধরনের ব্যবস্থা, যা ট্রান্সপোর্টার ইরেক্টর লঞ্চার থেকে মিসাইল ছুড়তে সক্ষম। একটি সিস্টেমে থাকে ছয় বা তারচেয়ে বেশি ট্র্যাক। আর একেকটি ট্রাকে থাকে চারটি করে মিসাইল কনটেইনার। প্রতিটি মিসাইলের ওজন প্রায় দুই টন, দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৮ মিটার।
চীনের তৈরি এ প্রতিরক্ষা সিস্টেম পাকিস্তানের কোনো কাজে আসেনি, এমনটাই দাবি করছে ভারত। এ নিয়ে ভারতীয়দের ট্রোলিংয়েরও শিকার হচ্ছে পাকিস্তান। বলা হচ্ছে, বন্ধু দেশ চীন ঠকিয়েছে তাদের।
কিন্তু আসলেই কী তাই? ভারতের আক্রমণের পর তিনটি রাফাল, একটি সু-৩০এমকেআই, একটি মিগ-২৯ ফালক্রাম ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান। তাই ধোঁয়াশা থেকেই যায় চীনের তৈরি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে।
jug/n