Saturday, 19 July 2025, 02:13 PM

সৈয়দপুরে ব্যবসায়ীর নিমাণ কাজে বাধা ও মালামাল লুটের...

জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক ব্যবসায়ীর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা ও সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে  অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টায় স্থানীয় বিসিক শিল্প নগরীতে নিজ প্রতিষ্ঠানের সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেসার্স গাউসিয়া মেজর অটোমেটিক ফ্লাওয়ার মিলস এর স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তফা।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শহরের নতুন বাবুপাড়া পৌরসভা সড়কে আমাদের বহুতল ভবনের পিছনে ২০০৮ সালে ৭ শতক জমি কবলা দলিলমূলে আমার ছেলে সারফারজের নামে কিনে নিয়ে ভোগদখল করে আসছি। জায়গাটি ডোবা প্রকৃতির ছিল। মাটি ভরাট করার পরও বিশেষ প্রয়োজন না হওয়ায় খোলামেলা অবস্থায় ছিল। একারণে এলাকার ছেলেরা এখানে খেলাধূলা করতো। সম্প্রতি দরকার হওয়ায় পৌরসভা থেকে নকশা অনুমোদন করে স্থাপনা নির্মাণের জন্য টিন দিয়ে ঘিরে নেই। গত ২৩ এপ্রিল সকাল ১১টায় ইট, বালু, সিমেন্ট নিয়ে সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করি। এমন সময় এলাকার হাজী আফতাব আলম জোবায়ের এমাদীর ছেলে মুবাশ্বির প্রিন্স এমাদী কতিপয় বখাটেকে নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে কর্মচারীদের মারপিট করে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং টিনের বেড়া ভাঙ্চুর করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সমঝোতার উদ্যোগ নিলেও প্রিন্স তা অগ্রাহ্য করে বিকেলে মানববন্ধন করে ভিডিও ফুটেজ প্রিন্স নিজের ফেসবুকের আইডিতে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করেছে। এমনকি অতীতের একটা ছবি এডিট করে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের সাথে সংযুক্ত করেও পোস্ট করেছে। যাতে আমাকে আওয়ামী দোসর হিসেবে প্রমাণ করা যায়। অথচ ওই ছবির মূল চিত্র হলো প্রিন্সের বাবা হাজী আফতাব আলম জোবায়ের এমাদীর নেতৃত্বেই মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে এবং সেখানে ফুলের তোড়াটি তাঁর হাতই ছিল। আমি শুধু পাশে দাঁড়ানো ছিলাম চেম্বারের সদস্য হিসেবে। মূলত: রোটারি ক্লাবের নামে প্রিন্স নিজে সরকারি জমি দখল করার পায়তারা করছে। কেননা রোটারী ক্লাবও বরাদ্দ না নিয়েই ভবন ও জমি দখল করে রেখেছে।


এব্যাপারে মোবাশ্বির প্রিন্স এমাদীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ওই জায়গা সরকারি এবং রোটারি ক্লাবের আয়ত্তে। মো. মোস্তফা যে জায়গা দখল করেছিল তা মূলতঃ খেলার মাঠ। জন্মের পর থেকেই আমরা এখানে খেলাধূলা করি। এটা যদি তার জমি হতো তাহলে এতোদিন বলেননি কেন? মূলত ভূয়া কাগজ তৈরি করে তিনি ওই জায়গাটি নিজের দাবী করে ব্যাংকের খেলাপী ঋণের বিনিময়ে বুঝিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী তাঁর এমন অপতৎপরতা প্রতিহত করেছি মাত্র।

// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P