অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
পহেলগাঁও হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এসব হামলায় অন্তত ২৬ নিহত এবং ৪৬ জন আহত হওয়া খবর পাওয়ার গেছে। এর জবাবে পাল্টা হামলায় ভারতের পাঁচটি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটির চলমান এ সংঘাতে নিজের অবস্থান জানালেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি পাকিস্তান ভূখণ্ডে ভারতীয় বাহিনীর চালানো এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’কে স্বাগত জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উর্দু ও হিন্দিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আমি পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসী শিবিরে’ আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এ ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’কে স্বাগত জানাই। পাকিস্তানি ‘ডিপ স্টেট’কে একটি কঠোর শিক্ষা দেওয়া উচিত যাতে তারা আর কখনো পহেলগাঁওয়ের মতো ঘটনা না ঘটাতে পারে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসী অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে হবে। ‘জয় হিন্দ’।
এছাড়া ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টির সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে এ হামলায় সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, এই সময়ের প্রয়োজনীয়তা হচ্ছে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি।
তিনি আরও বলেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত মাসে হামলা হওয়ার পর থেকেই তার দল সীমান্ত অতিক্রম করে চালানো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যেকোনো সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারের সঙ্গে কোনো দ্বিধা ছাড়াই সমর্থন দিয়েছে।
আমি পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসী শিবিরে’ আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এ ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’কে স্বাগত জানাই। পাকিস্তানি ‘ডিপ স্টেট’কে একটি কঠোর শিক্ষা দেওয়া উচিত যাতে তারা আর কখনো পহেলগাঁওয়ের মতো ঘটনা না ঘটাতে পারে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসী অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে হবে। ‘জয় হিন্দ’
-আসাদউদ্দিন ওয়াইসি
নয়াদিল্লি দাবি করেছে, তাদের পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের যে ৯টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
ভারতের ভাষ্যমতে, এই লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘস্থায়ী সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর কয়েকটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই অভিযান মূলত গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়েছে। সেই হামলায় ২৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যবা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হলেও, গোষ্ঠীটি আনুষ্ঠানিকভাবে এর দায় স্বীকার করেনি।
jug/n