Sunday, 02 February 2025, 06:51 PM

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে দশটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। 


নিহতের নাম শিমুল শিহাব। তার বাসা রাজশাহী নগরীর মেহেরচন্ডী বুধপাড়া এলাকায়। প্রাথমিকভাবে জানা যায় তিনি রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী। 


ডাক্তার বলছেন মাথায় রক্তক্ষরণের ফলে তিনি মারা গেছেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন বা রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি। তবে তার স্বজনদের দাবি তাকে মারধার করা হয়েছে। প্রক্টর বলছেন বাইক নিয়ে পালানোর সময় দূর্ঘটনা ঘটেছে। 


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বিজ্ঞান ভবনের পিছনে একটি মেয়ের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন ছেলেটি। এসময় সেদিক দিকে প্রক্টরের নিয়মিত টহল চলছিল। প্রক্টরের গাড়ি দেখে বাইক নিয়ে পালাতে লাগে তারা। যেদিক দিয়ে পালাচ্ছিল সেখানে রাস্তার কাজ চলছে। রাস্তার মধ্যে দিয়ে রড পারা ছিল। রডের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় দূর্ঘটনা ঘটে। তাকে প্রথমে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমরা লাইব্রেরী থেকে রুমে যাওয়া সময় দেখি আমাদের সামনে দিয়ে একজন খুব জোরে বাইক নিয়ে যাচ্ছে। বাইকের পেছনে একটা মেয়েও ছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর ছেলেটি রড পারা রাস্তায় পরে যায়। ছেলেটি তখন অজ্ঞান হয়ে গেছিল। সেখানে তাকে আশে পাশের শিক্ষার্থীরা এসে মাথায় পানি দেয়। পরে প্রক্টর সেখানে এসে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন মেয়েটি বলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না। পরে এ্যম্বুলেন্স এসে ছেলেটিকে নিয়ে যায়। 


এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, রাত দশটার দিয়ে আমি ঘটনা জানতে পারি। আমাদের সহকারী প্রক্টর টহল দিচ্ছিল। তখন ছেলে-মেয়ে দুইজন তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পিছনে ছিল। প্রক্টরের গাড়ি দেখে তারা বাইক নিয়ে পালাতে লাগে৷ ওদিক দিয়ে রাস্তার কাজ চলছিল। সেখানেই দূর্ঘনাটি ঘটে। পরে আমাদের লোকজন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে পাঠায়। সেখান থেকে তাকে রামেকে নেওয়া হয়। ছেলেটির বাইক প্রক্টর দপ্তরে আছে। কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম ছেলেটি মারা গেছে। 


এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত একজন জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে রাত ১১টার দিকে একজনকে নিয়ে আসা হয়। তবে আগেই সে মারা গেছিল। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণে সে মারা গেছে। তবে বাহিরে কোনো রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি। সামান্য একটু র‍্যাশ টাইপ ছিল মাথার দিকে। তাকে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছেলেটি রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী। 


এবিষয়ে জানতে রাজশাহীর মতিহার থানার ওসি মো. আব্দুল মালেক বলেন, আমরা বিষয়টি খোঁজ খবর রাখছি। তবে সঠিক ঘটনাটি আমরা এখনো জানতে পারিনি। আমরা সবার সাথে কথা বলে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করতেছি। মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো হয়নি, তবে হতে পারে।