আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ ভারতের ওয়ানডে ক্রিকেটে ইতিহাসে অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে ইতোমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মাহেন্দ্র সিং ধোনী। শনিবার তারই নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডকে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে পরাজিত করেছে স্বাগতিক ভারত। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পরেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারকে বিদায় জানানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ক্যারিয়ারকে টেনে নিয়ে যাবার ইচ্ছা আছে ভারতীয় অধিনায়কের। আগামী বছর জুনে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, সেখানেই আয়োজিত হবে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ।
সূত্রটি নিশ্চিত করেছে ঝাড়খান্ডের এই ক্রিকেটার এখনই নিজের উইকেট কিপিং গ্লাভস ও ব্যাট তুলে রাখতে রাজী নন। চলতি বছরের পরে নিজের ফর্ম ও ফিটনেস ধরে রাখার চ্যালেঞ্জের কথা বললেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ধোনীকে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ছোট ভার্সনের ক্রিকেটে মনোযোগী হবার নিমিত্তে ২০১৪ সালেই সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন। তার সতীর্থ ও ভারতের অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার আশিষ নেহরা অবশ্য আগামী বিশ্বকাপে ধোনীর খেলার ব্যপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধোনীর বয়স ৩৮’র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। কিন্তু এখনকার দিনে বয়স কোন ব্যপার না। পাকিস্তানের ইউনিস খান, মিসবাহ-উল-হকের দিকে তাকালে দেখা যাবে তারা এখনো ৪০ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। ধোনীর ব্যপারে বলতে হয় সে এখনো যথেষ্ঠ ফিট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের কোন কারনই আমি দেখিনা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পরে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজের আগে সে প্রায় দুই মাসেরও বেশী সময় হাতে পাাচ্ছে। আশা করছি কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের চেয়ে আরো বেশী ফিট হয়ে সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
এমনকি সাবেক নির্বাচক ভিক্রম রাঠোরও ধোনী খেলা চালিয়ে যাবার পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ধোনী চাইলে অবশ্যই খেলতে পারবে। তার ফিটনেসও যথেষ্ঠ ভাল আছে। বরং আগের থেকে সে আরো বেশী ফিট হয়েছে।
সাবেক উইকেটরক্ষক কিরন মোরে বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিটনেস সবচেয়ে বড় নিয়ামক। কিন্তু ধোনীকে সেই বিষয়টি নিয়ে মোটেই চিন্তা করা লাগবে না। ২০১৯ সালে তার খেলার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে।
বি/এস/এস/এন