Thursday, 08 May 2025, 01:46 AM

কিশোরগঞ্জে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে...

কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: বছরের প্রথম মাসের প্রথম সপ্তাহ পার হলেও এখনো নতুন বই পায়নি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এতে চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।


প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি এবং  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম, ৯ম এবং মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো পায়নি নতুন বই। এতে করে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বই পাবে কবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। 


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এমপিও এবং নন এমপিও মোট ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২২টি মাদ্রাসা রয়েছে। 


মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ষষ্ঠ,৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের বই নতুন বছরের প্রথম দিনই দিয়েছে। অন্যান্য বিষয়ের বই সরবরাহ করা হয়নি। 


এদিকে মাদ্রাসাগুলোতে ৬ষ্ট শ্রেণি শিক্ষার্থীদের বাংলা ও ইংরেজি ৭ম ও ৮ম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের বাংলা,ইংরেজি ও গনিত দেওয়া হলে বাকি বিষয়ের বই এখনো পায়নি। 


বছরের শুরুতে নতুন বই উৎসবের পর শিক্ষার্থীদের নতুন বই হাতে নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে, হৈ- হুল্লোড়, খেলাধুলা এবং পাঠগ্রহণের যে চিত্র আগের বছরগুলোতে দেখা গিয়েছিলো। এবার সেটা ছিটেফোঁটাও নেই। তারপর  শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। 


মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, অন্য ক্লাসে যারা বই পেয়েছে তারা ক্লাস করে বাসায় গিয়ে বই পড়তেছে। কিন্তু যারা পায়নি তাদের মেধার অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। 


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ উপজেলায় ১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বই পেলেও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো পায়নি বই। বেশীভাগ বেসরকারি কিন্ডার গার্ডেনের অবস্থাও একই। 


বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বই দিতে না পারায়  খুবই চিন্তয় আছি। কোনদিন বই পাওয়া যাবে এখনো নিদিষ্ট সময় জানা যায়নি। তবে তারাতারি বই পাওয়া যাবে, শিক্ষা অফিস বলছে।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম আজম বলেন, প্রতিবারের নেয় এবারও শিক্ষার্থীরা বই নিতে বছরের শুরুতে স্কুলে আসে। তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-আনন্দ দেখা যায়। কিন্তু বই না পেয়ে শিক্ষার্থীরা  ক্ষোভ প্রকাশ করে। অনেকেই মন খারাপ করে বাড়ি ফিরে যায়। ৬ষ্ট ও ৮ম শ্রেণির তিন বিষয়ে বই পেলেও বাকী বই এখনো পায়নি তারা। এদিকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোন বই এখনো আসেনি।।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, পাঠ্যবইয়ের অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিছু বিষয়বস্তু সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। তবে অতি শিগগিরই বই সরবরাহ করা হবে।


// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P