Thursday, 10 April 2025, 11:10 AM

নিমপাতার গুণাগুণ

ডেস্ক রিপোর্ট : নিম একটি ঔষধি গাছ। ভেষজ উদ্ভিদের নামের তালিকায় সবসময় নিমপাতা শীর্ষে থাকে। অনেকে বলে থাকেন সর্বরোগের ঔষধ হল এই নিমপাতা। শতশত বছর ধরে আয়ুর্বেদিক ঐতিহ্যে নিমপাতার হরেক রকমের ব্যবহার হয়ে আসছে। নিমপাতার বিভিন্ন ধরণের কার্যকারিতা নিম্নে আলোচনা করা হলো:


১। কফজনিত বুকের ব্যথা:

অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোঁটা নিমপাতার রস সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এ ওষুধটি নিষেধ।


২। কৃমি : পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম  নিমগাছের মূলের ছালের গুঁড়ো দিনে তিনবার সামান্য গরম পানিসহ খেতে হবে।


৩। উকুন নাশ :

নিমের পাতা বেটে হালকা করে মাথায় লাগান। ঘণ্টাখানেক পর মাথা ধুয়ে ফেলুন। ২-৩ দিন এভাবে লাগালে উকুন নাশ হবে বা মরে যাবে।


৪। অজীর্ণ :

অনেক দিন ধরে পেটের অসুখ। পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোঁটা নিমপাতার রস সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেলে উপকার পাওয়া যাবে।


৫। খোসপাঁচড়া :

নিমপাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাঁচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েক দিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পোকামাকড় কামড় দিলে বা হুঁল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।


৬। দাঁতের রোগ :

নিমের পাতা ও ছালের গুঁড়ো কিংবা নিমের ছাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবে রোগ থেকে। ওষুধের কৃত্রিমতার উপরে আছে প্রকৃতির অসাধারণ সব উপাদান, যার অল্প একটু ব্যবহারই প্রতিদিন আমাদের রাখবে সুস্থ ও সতেজ।


এছাড়া  নিমের পাতায় অ্যান্টি-ফুঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা চুলের খুশকি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

এটি ত্বকের জ্বালা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিমের ডি-টক্সিফাইং বৈশিষ্ট্যের জন্য ত্বকের রোগ চিকিত্সায় সকল আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশনে এর উল্লেখ করা হয়। ব্রণ বৃদ্ধি করে যে সকল ব্যাকটেরিয়া নিমপাতা তা দূর করে।


বি/দ/প

// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P