টিকার মজুত না থাকলে নিবন্ধনকারীদের কাছে মেসেজ যায় না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
টিকার জন্য নিবন্ধন করেও অনেকের এসএমএস পেতে বিলম্ব হচ্ছে কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কারণ টিকা হাতে থাকলে মেসেজ যেতে থাকবে। টিকা যখন হাতে থাকে না তখন মেসেজ যায় না। টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে মেসেজ দেয়া হয়। সামনে টিক বেশি করে আসবে, তখন আরও বেশি করে মেসেজ যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভ্যাক্স থেকে যে টিকা আমরা পাই তা একসঙ্গে অনেক পাই না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে চীনের সঙ্গে আলোচনা করে আরও ছয় কোটি টিকার অনুমোদন সরকার দিয়েছে। চীনও সেই অনুমোদন দিয়েছে। এখন আমরা চুক্তির পর্যায়ে আছি। অর্থনৈতিক কমিটিতে গিয়ে পাস হয়ে যাবে। এই টিকা এলে টিকা কার্যক্রম অনেক জোরদার হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, চীন সেপ্টেম্বরে ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন, অক্টোবরে ২৩ মিলিয়ন ও নভেম্বরে ২৩ মিলিয়ন টিকা দেবে। পাশাপাশি কোভ্যাক্সের টিকা আসবে। ফাইজারের টিকাও পাওয়ার কথা ছয় মিলিয়ন। আমরা আশা রাখি, ভারতের কাছে যে টিকা রয়ে গেছে তা পাব। কিন্তু এখনো কোনো রকমের কনফার্ম তারিখ তারা দেয়নি। আশা করি এখন সময় আসছে দেয়ার।
মন্ত্রী বলেন, টিকা এখন খুব প্রয়োজন। টিকা নিয়ে মানুষ সুরক্ষিত হয়। সংক্রমণ থেকে পুরোটা সুরক্ষিত হবে তা নয়। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ টিকা নেয়ার পর অ্যান্টিবডি তৈরি হতে সময় লাগে। বুস্টার ডোজ দিতে হয়, দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়।
তিনি বলেন, প্রথমে আমরা ২১ কোটি টিকার কথা বলেছিলাম। নতুন করে আরও ছয় কোটির কথা বলেছি। ২১ কোটির মধ্যে ৩ কোটি চীনের ছিল। এই তিন কোটি বাদে আরও ছয় কোটি যোগ হলো। কারণ যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা তো টিকা নাও দিতে পারে। এজন্য আমরা টিকার সংখ্যা বাড়াচ্ছি। যেখান থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখছি সেখানে কথা বলছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কমিটমেন্ট অনুযায়ী ২১ কোটি ছিল। সেখানে আরও ছয় কোটি যোগ হলো। জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা আগামী বছরের মাঝামাঝি আসবে। তার আগে আমরা অন্য জায়গা থেকে টিকা পেলে সেটাই গ্রহণ করব। চীন থেকে আগে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি। আমরা চাই মানুষকে তাড়াতাড়ি টিকা দিতে।
সোয়া কোটি মানুষ নিবন্ধন করে টিকা পাচ্ছেন না, এখন সরকারের কাছে কত টিকা সংরক্ষণে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাতে কত টিকা আছে তা এখন বলতে পারছি না। তবে বেশকিছু টিকা আছে। গ্রামের বয়স্কদের মধ্যে মৃত্যুহার ৯০ শতাংশ। এজন্য টিকা গ্রামে নেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম মাঝে মধ্যেই ঘোষণা দেবো। টিকা যে পরিমাণ হাতে আসবে সেভাবেই দেয়া হবে।
Jag/N