Sunday, 09 March 2025, 08:04 AM

১২০ কোটি ডলার পেতে ঋণদাতাদের সঙ্গে দর-কষাকষি

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেছে। অর্থনীতিতে পুরোনো সংকটগুলো রয়ে গেছে। ডলার–সংকট, ক্ষয়িষ্ণু রিজার্ভ, বাজেটে অর্থ জোগানে টান—এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে দেশের অর্থনীতি। এসব সংকট সামাল দিতে গত কয়েক বছরের মতো চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরেও বাজেট–সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

বাজেট–সহায়তা নিয়ে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) ও কোরিয়ার সঙ্গে দর-কষাকষি প্রায় চূড়ান্ত করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। বিদেশি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে চলতি অর্থবছরে ১২০ কোটি ডলার পেতে চায় সরকার।

এ ছাড়া সদ্য পদত্যাগী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে চীনের কাছ থেকে বাজেট–সহায়তা নেওয়ার বিষয়ে যে আলাপ–আলোচনা শুরু হয়েছিল, তা চালিয়ে যাওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, আপাতত চীনের কাছ বাজেট–সহায়তা নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে ‘ধীরে চলো নীতি’ নিয়েছে সরকার।

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, রিজার্ভ–সংকট, ডলারের দাম বৃদ্ধি, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের গতি কমে যাওয়া এবং রাজস্ব আদায় কম হওয়া—এগুলো অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করেছে। এসব নিয়ে সরকারও চাপের মধ্যে আছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজেটের চাহিদা মেটাতে সহায়তা লাগবে। বাজেট–সহায়তা নেওয়া সরকারের ভালো নীতি।

তবে সেলিম রায়হান মনে করেন, বর্তমান ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বাজেট সংশোধন করা প্রয়োজন। অর্থনীতির সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাজেটের আকার যৌক্তিক করা উচিত।

// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P