Friday, 11 April 2025, 11:16 PM

৩১ ডিসেম্বর কী হতে যাচ্ছে, জানালেন হাসনাত- সারজিসরা

রোববার দুপুরে বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত


৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা ফেসবুকে একের পর এক রহস্যজনক পোস্ট দিতে থাকেন। তবে ওই দিন কী হবে, তা নিয়ে কেউ বিস্তারিত না বলায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এবার সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচির বিস্তারিত জানালেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।


রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষ যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে ৩১ ডিসেম্বর আবারও মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। ওই দিন জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে। এই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট হওয়া উচিত ছিল। এটি না হওয়ার কারণে স্বৈরাচারের দোষররা সক্রিয় রয়েছে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মানুষ ৭২ এর মুজিববাদের সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। ৭২ এর সংবিধানের বিরুদ্ধে যেভাবে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, সেটাকে স্বীকৃতি দিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।

হাসনাত বলেন, এটা নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রক্লেমেশন না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারিত জাতি। আর যেন প্রতারিত না হই, এজন্য এই ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। আমরা চাই যেখান থেকে এক-দফা ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকেই মুজিববাদের কবর রচনা করা হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, আমরা মনে করি আমাদের ঘোষণাপত্র আরও আগে প্রকাশ করা দরকার ছিল। এই ঘোষণাটি সামগ্রিকভাবে সারা বাংলাদেশে লিখিত অবস্থায় থাকবে। পুরাতন সিস্টেমগুলোকে রিজেক্ট করবে, নতুন সিস্টেম তৈরি করবে। আগামীতে মানুষ যখন ভোট দেবে তখন তারা বুঝতে পারবে কোন প্রেক্ষাপটে অভ্যুত্থান হয়েছিল। আমরা বিশ্বাস করি মানুষের মনকে যেভাবে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় করেছিল, তেমনিভাবে এই ঘোষণাপত্র মানুষের মনে ধারণ করবে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, শহীদ পরিবারের লোকজন ছাড়াও সব রাজনৈতিক দল ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে জড়ো হবে। নাৎসিবাদী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে ঘোষণাপত্রের খসড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হয়েছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে।


itt/N





// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P