বিডি নীয়ালা নিউজ(২৮ই ফেব্রুয়ারী১৬)-বিনোদন ডেস্কঃ আজম খান, তাঁর পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। আজম খান শুধু একটি নাম নয় বাংলা ব্যান্ড জগতের একটি প্রতিক। একটি উজ্জ্বল তারা, একটি স্বাধীনতা।
২৮শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০ সনে তিনি জন্ম লাভ করেন। মৃত্যূবরণ করেন ২০১১ এর জুন মাসে। মাত্র ৩০ বছরের সুর সাধনার জীবনে তিনি বাংলাদেশকে যে গান উপহার দিয়েছেন তা বাংলাভাষাভাসী মানুষ কৃতজ্ঞচিত্তে স্বরণ করবে।
তার সর্ব প্রথম জনপ্রিয় গান হচ্ছে, রেল লাইনের ঐ বস্তিতে (বাংলাদেশ)। এরপর তার শুধু সৃষ্টিই হয়েছে, জন্ম নিয়েছে একের পর এক তুমুল জনপ্রিয় সব গান। তার গান দর্শক হৃদয়ে এক আলাদা ব্যাঞ্জনা তৈরি করে। আজম খান মানেই হৃদয় নিংরানো কষ্টের সব গান। তার গানের কথা ও সুর দর্শককে এক নতুন জগতের সন্ধান দেয়। তবে বেশ কিছু রোমান্টিক ও মজার গানও তিনি করেন। এর মাঝে আলাল ও দুলাল, চুপ চুপ চুপ, অনামিকা চুপ গানটিও উল্লেখযোগ্য। তার বিখ্যাত গানগুলো হলো, আমি যারে চাইরে তারে আমি পেয়েও হারাইরে, হারিয়ে গেছে খুঁজে পাবোনা, নেই কোন অভিযোগ, ওরে সালেকা ওরে মালেকা, জীবনে কিছু পাব নারে, জীবনে মরণ কেন আসে, আলাল ও দুলাল, সারা রাত জেগে জেগে, অভিমানী তুমি কোথায়, চাঁদকে ভালোবেসো না, বধুয়া কি গাইতে জানে গান? এগুলো ছাড়াও তার আরো অসংখ্য বিখ্যাত গান রয়েছে।
বাংলা ব্যান্ডগুরু আজম খানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পান্থ কানাই। তিনি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন গুরু। জন্ম: ১৯৫০, ২৮ ফেব্রুয়ারি। মুত্যু নাই।’
গুরুর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর। ফেসবুকে তিনি আজম খানের সঙ্গে গাওয়া একটি গানও শেয়ার করেছেন ভক্তদের সঙ্গে। পরে আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘…বাংলাদেশের তারুণ্যের চির অহঙ্কার আজম ভাইয়ের জন্মদিনে লক্ষ কোটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলা সংগীতের গুরু আজম খান তার কোটি ভক্তের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। তিনি আমাদের যা দিয়েছেন, যা শিখিয়েছেন- সেগুলো ধ্যানে কর্মে ধারন করবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। মহাপ্রয়াণের আগে-পরে পত্রিকা টিভির দৌড়ঝাঁপ দেখেছি, দেখেছি অনেক মায়াকান্না । আজ গুরুর জন্মদিনে তাদের কাগজ এবং ফুটেজের অভাব দেখা দিয়েছে। অভিশপ্ত এই মিডিয়াকে আজম ভাই কখনোই গুরুত্ব দিতেন না।…’