গত দুই দিন ধরে দেখছি কান ধরার হিড়িক পড়ে গেছে। আমি কান ধরিনি এবং ধরতেও চাই না।
শ্রদ্ধেয় শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের অপমান নিঃসন্দেহে অন্যদের মতো আমাকে সমানভাবে ক্ষুব্ধ, ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। যদিও শিক্ষক অপমানের ঘটনা এদেশে এই প্রথম নয়। এর আগেও এ রকম অপমানের ঘটনা অনেক ঘটেছে এবং ঘটছে। সবগুলো প্রকাশ্যে আসে না বলে আমরা অনেক ঘটনাই জানতে পারি না। তখন কিন্তু আমরা কান ধরিনি। তাই কান না ধরে সবাই এর প্রতিকারের কথা লিখুন। মান্ধাতার আমলের আইন পরিবর্তনের কথা বলুন। প্রতিনিয়ত অনেক স্কুল-কলেজের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা ম্যানেচজং কমিটির অশিক্ষিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে নানাভাবে অপমানিত হচ্ছেন।
আজকাল সব নির্বাচনে শিক্ষার কথা উল্লেখ থাকলেও স্কুল-কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে নেই। ফলে অশিক্ষিতরা নির্বাচিত হয়ে শিক্ষিত শিক্ষকদেরকে অপমান করার সুযোগ ও সাহস পায়। অশিক্ষিত লোকরা যাতে স্কুল-কলেজের ম্যানেজিং কমিটিরআসতে পারে সে আইন করা হোক। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করা হোক। তাতে করে অশিক্ষিত লোকদের হাত থেকে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা অনেক অপমানের হাত থেকে বাঁচবেন। সেটাই হবে কান ধরার চেয়ে অনেক বড় কাজ।
লেখক : বিশিষ্ট্য কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্য সংগঠক