Thursday, 26 December 2024, 10:21 AM

বিশ্ব ইজতেমা কাল শুরু

ডেস্ক রিপোর্টঃ গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আগামীকাল শুক্রবার ভোরে শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামাতের ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হবে। ১৪ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হবে। এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এবার বিশ্ব ইজতেমায় অন্যবারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের প্রায় সাত হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে বেশি।

ইজতেমার মুরব্বি ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৫টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের অজু-গোসলের জন্য প্রতিদিন প্রায় চার কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক টয়লেট ও গোসলখানা স্থাপন করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ২৬টি ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হবে। বিদেশিদের ক্যাম্পে রান্নার জন্য ১৩৬টি গ্যাসের চুলা স্থাপন করা হবে। বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য ৪৫টি চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর চার দিন বিরতি দিয়ে ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব এবং ২১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

গতকাল বুধবার ইজতেমা ময়দানের ফটকে কথা হয় মুসল্লি আরজু মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলার ১৮ জন মুসল্লি এক চিল্লা দাওয়াতের কাজ শেষে ইজতেমায় অংশ নিতে এসেছেন। কুমিল্লা থেকে আসা বেশ কয়েকজন মুসল্লি পানির ট্যাংকের পাশের ফটক দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করছিলেন। তাঁদের একজন মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ৪০ দিনের দাওয়াতি কাজ শেষে তাঁরা ইজতেমায় যোগ দিতে এসেছেন। ইজতেমা শেষ করে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন।

দিল্লির মাওলানা সাদকে নিয়ে চলমান সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, তিনি ইজতেমায় যোগ দিতে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন। ঢাকার কাকরাইল মসজিদে অবস্থান করছেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, ইজতেমা এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অশ্লীল পোস্টার অপসারণ ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিশুদ্ধ খাবার নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মুসল্লিদের যাতায়াতে তুরাগে সাতটি ভাসমান পন্টুন নির্মাণ করা হয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নান বলেন, ইজতেমা ময়দানের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য সার্বক্ষণিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।

ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Pr/A/N.