
কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)
ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খন্দকার তারিক বিন তাহের এর বিরুদ্ধে অনিয়মসহ ভেণ্যু পরির্তবনের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খন্দকার তারিক বিন তাহের ১৭.০৮.৭৩৪৫.০০০.৩২.০০১.২৫-৮৮ স্মারকে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গত ১২মার্চ২০২৫ইং তারিখে চেয়ারম্যান মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর প্রেরণ করেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২৫ উপলক্ষে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হবে ১নং ওয়ার্ড থেকে ৫নং ওয়ার্ড পর্যন্ত মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে । সেখানে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য উপস্থিত থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে কোনপ্রকার চিঠি ইস্যু না করে ক্ষমতার অপব্যবহার দেখিয়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২৫ উপলক্ষে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের বায়োমেট্রিক কার্যক্রমের ভেণ্যু মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে না করে সিঙ্গেরগাড়ী খিলালগঞ্জ এলাকায় নিয়ে গিয়েছেন। যেখানে মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড থেকে ৬নং ওয়ার্ড পর্যন্ত লোকজন সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা এবং মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ তাদের অনেক নিকটে হওয়ায় তারা সেখানে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ স্থানটিকে সুবিধা মনে করেন। কিন্তু তা না করে মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দুরত্বে গিয়ে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিগণ হয়রানীর স্বীকার হয়েছেন।
মাগুড়া কাজী পাড়া গ্রামের আখিমনি,সালমা,রুকাইয়া,আফরোজা বেগম বলেন আমরা ছবি তোলার জন্য ঢাকা থেকে এসেছি এছাড়া আমরা জানি মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদে ছবি তুলবে কিন্তু হঠাৎ করি জানতে পাই আমাদেরকে খিলালগঞ্জ যেতে হবে। ভুক্তভোগীরা আরো জানান আমারা খিলালগঞ্জ চিনি না জনপ্রতি দুইশত টাকা খরচ করে আমাদেরকে ভ্যানে করে খিলালগঞ্জ যেতে হয়েছে এছাড়া আরো বলেন সেখানে আশপাশে নেই কোন ফটোকপির কিংবা কম্পিউটারের দোকান সবমিলে ওই দিনটিতে অনেক হয়রানীর স্বীকার হতে হয়েছে। এ বিষয়ে মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু অভিযোগ করে বলেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমাকে কোনপ্রকার চিঠি ইস্যু না করে ভেণ্যু পরিবর্তন করেছেন আমি বলবো কাজটিতে ওনি অনিয়ম করেছে। ভেণু পরিবর্তন ব্যাপারে তার সাথে আমার কোন কথাও হয়নি তিনি তার একক ক্ষমতা বলে এই কাজটি করেছে। ফলে আমার ইউনিয়নের ভোটারযোগ্য ব্যক্তিগণ হয়রানীর স্বীকার হয়েছেন এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়েছে যেটা আমি কখনো আশা করিনি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খন্দকার তারিক বিন তাহের এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি আজকালের খবরকে জানান আমি চেয়ারম্যানকে অসংখ্যবার ফোন দিয়েছিলাম ওনি ফোন ধরেননি এছাড়া চেয়ারম্যান সাহেব রিলিফের মাল এবং টিসিবির মাল বিতরণ কাজে ব্যস্ত থাকায় তারিখ পবির্তনের কথা বলেছিলেন। আমাদের নির্বাচন কমিশন থৈকে তালিখ পরিবর্তবনের কোন সুযোগ নেই।