আসাদুজ্জামান পাভেল, ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের নিজ পাড়া বাঘকশা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ঘরবাড়ী আগুনে পুড়ে যাওয়া ৩টি পরিবারের মাঝে নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকাল ৬ টায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিজ পাড়া গ্রামের ছফে মামুদের পুত্র লেবু মামুদ,এছারউদ্দিনের পুত্র হামিদুল ও লেবু মামুদের পুত্র মমিনসহ ৩টি পরিবারের ঘরবাড়ী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার সংবাদ আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন পেলে তাৎক্ষণিক ডিমলা উপজেলা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানীর প্রধান কে নির্দেশনা প্রদান করেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাড়ানোর ও সহযোগীতা করার জন্য। নির্দেশনা পেয়ে চাল,ডাল,তেল, আলু,পিয়াজ,শাড়ি,লুঙ্গী ও নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী সহ ডিমলা উপজেলা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধানের নেতৃত্বে, উপজেলা বিএনপি সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (ডিআর), সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, নাউতারা ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলাম, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া,সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা বাবু, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ন-আহবায়ক মোঃ সোহাগ খান লোহানী, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব বাবু জ্যোতি রঞ্জন রায়, উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ, মহিলা নেত্রী নুরজাহান বেগম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুতের শর্ট-সার্কিটের কারণেই আগুন লাগে। তখন বাড়ির পুরুষ মানুষ বাজারে থাকায় ও মাগরিবের নামাজের সময় হওয়ার কারণে সহজেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক ডিমলা ফায়ার সার্ভিস অফিসে খবর দিলে ঘটনা স্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছার আগেই তিনটি পরিবারের সাতটি টিনের ঘর, ১টি ভ্যান গাড়ি, ১টি গরু, হাঁস-মুরগি, ৭মন ধান, ১০ মন ভুট্টা, ৫০ কেজি চাল,নগদ টাকা, পরিবারের লোকজনের কাপড় সহ প্রায় ৪/৫ লক্ষ টাকা পরিমাণের ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে পরিবারের সদস্য লেবু গণমাধ্যম কর্মীকে জানান।লেবু মিয়া আরো বলেন, আমরা এখন সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছি। নতুন ঘরবাড়ী তৈরী করার ক্ষমতা আমাদের নাই। আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই। সরকারি সহযোগিতা পেলে হয়তো নতুন করে ঘরবাড়ী তৈরী করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই বর্ষাকালে খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে দিন কাটাতে পারবো।