Friday, 05 December 2025, 12:03 PM

ইসরাইলের লিদ্দ বিমানবন্দরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী এবার ফিলিস্তিন-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অধিকৃত ইয়াফা অঞ্চলের আল-লিদ্দ বিমানবন্দরে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে। আর এ হামলাটি গাজার ওপর ইসরাইলি অবরোধের প্রতিক্রিয়া হিসেবে চালানো হয়েছে।


ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী বুধবার (২৭ আগস্ট) এই উচ্চপর্যায়ের সামরিক অভিযান চালিয়ে অধিকৃত ইয়াফার আল-লিদ্দ বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।


সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, ফিলিস্তিন-২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত হয় এবং ‘লাখ লাখ দখলদার ইহুদি’ আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।


এই হামলাকে গাজায় চলমান অবরোধ, দুর্ভিক্ষ ও আগ্রাসনের সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা হয়।  


জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘ যখন গাজার মানবিক সংকটকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তখন ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ মোকাবিলায় বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।


ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব


ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী একে ‘অত্যাচারিত ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সমর্থনের ধর্মীয় ও নৈতিক কর্তব্য’ হিসেবে ঘোষণা করে। একই সঙ্গে আরব ও ইসলামি বিশ্বের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে বলছে, তারা যেন গাজার গণহত্যা ও অবরোধের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।


ফিলিস্তিনের পক্ষে ইয়েমেনের অবস্থান


বিবৃতিতে ইয়েমেনকে ‘ঈমান ও প্রতিরোধের দেশ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘ইয়েমেন বিজয়ীদের ভূমি। যত চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, ফিলিস্তিনের প্রতি দায়িত্ব পালনে ইয়েমেন কখনো পিছু হটবে না।’ 


ইয়াহিয়া সারির ভাষায়, ‘গাজার পাশে আছি, যতদিন না অবরোধ উঠে যায় এবং আগ্রাসন বন্ধ হয়।’ সূত্র: আল-মায়াদিন ও মেহের নিউজ

// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P