Friday, 16 May 2025, 10:32 AM

জানুয়ারির মধ্যে কমপক্ষে ১২ কোটি টিকা দেওয়া হবে:...

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ভ্যাকসিনের কোনো ঘাটতি নেই। হাতে এক কোটির ওপরে ভ্যাকসিন আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব মানুষকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেজন্য আমরা ২১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনে রেখেছি। সেখান থেকে এ মাসে অন্তত তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আসবে। আগামী মাসেও একই হারে আসার কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে অন্তত ৭ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই কমপক্ষে ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। সেটা করা গেলে করোনায় মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় নামানো সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে নতুন ওষুধ কোম্পানি—ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশে করোনা মহামারি চলাকালেও কোথাও ওষুধের ঘাটতি দেখা দেয়নি। গ্রাম পর্যায়েও ওষুধ ছিল পর্যাপ্ত। বাংলাদেশের ওষুধ দেশীয় চাহিদার ৯৮ ভাগ পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর আয় করছে বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ এখন বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বিদেশে ওষুধ রপ্তানি করে গত ছয় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ৩১ বিলিয়ন রপ্তানি আয় করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি দেশের ওষুধ দিয়েই প্রায় ৯৮ ভাগ মানুষের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পর দেশের অন্যতম বড় একটি আয়ের উৎস হতে যাচ্ছে ওষুধ কোম্পানি। তবে দেশে যেনো কোনো ভেজাল ওষুধ না থাকে এবং মানসম্পন্ন ও সাশ্রয়ী দামে ওষুধ কেনা যায় সেজন্য আমরা নতুন একটি ওষুধ নীতিমালা করতে যাচ্ছি। এতে দেশের বাজারে অকারণে কেউ আর ওষুধের দাম বাড়াতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নতুন ওষুধ কোম্পানিটি উদ্বোধন করেন ও প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দেখেন। এসময় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান, ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ উপস্থিত ছিলেন।

ban/N

// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P