…………….. জিকরুল আলম মণ্ডল
‘আমার সাধ জাগে মা’
আমার সাধ জাগে মা
ঐ নীল আকাশের রশ্মি হতে,
সাধ জাগে সাত সমুদ্র পারি দিতে,
সাধ জাগে ঐ রক্তিম সূর্যটাকে সিনিয়ে আনতে
আমার সাধ জাগে মা
হিমালয় জয় করতে।
সাধ জাগে আইফেল টাওয়ারের মতো মাথা উচু করে দাড়েতে,
সাধ জাগে স্ত্রাচু অব লিবার্টি মত বজ্র মুষ্টিতে মরশাল ধরতে।
আমার সাধ জাগে মা
বিশ্বকে হাতের মুঠোয় পেতে,
সাধ জাগে পৃথিবী থেকে মঙ্ঘল গ্রহে যেতে,
সাধ জাগে অজানা গ্রহে আমার দেশের পতাকা উড়াতে।
আমার সাধ জাগে মা
ঐ রাখাল ছেলের হাতের বাঁশি হতে,
সাধ জাগে গাংচিলের মত আকাশে উড়তে,
সাধ জাগে স্বর্গ হতে একবার বাংলার অবিরাম মুখ দেখতে।
আমার সাধ জাগে মা
অ্যাটম বোমা হতে,
সাধ জাগে শত্রু পুরে ছাই করতে,
সাধ জাগে সাহারা মরুভুমির দিঘ পথ পারি দিতে।
আমার সাধ জাগে মা
ঐ অবুজ শিশুর ক্রন্দন ধবনি হতে,
সাধ জাগে গাছের ডগায় শিশির বিন্ধু হতে,
সাধ জাগে দুঃখী মানুষের সেবা করতে।
আমার সাধ জাগে মা
নিজন জায়গায় আপন মনে বসে থাকতে,
সাধ জাগে বসে বসে দেশের ছবি আঁকতে।
‘স্বাধীনতার পথে’
এখন বাংলার মুক্ত আকাশে বাতাসে
স্বাধীনতার মুক্ত মিছিলে,
চলো হারিয়ে যাই বন্ধু ঐ দূর আকাশে।
স্বাধীনতার এসেছে বন্ধু বাংলার প্রান্তে
শত্রু সেনার দল যাবে মিশে,
বাংলার দামাল ছেলেদের হাতে।
তুমি কি হারিয়ে যাবে বন্ধু?
ঐ শত্রু-সেনাদের হাতে!
না-না-না,তা হয় না
যাবে না তুমি হারিয়ে,
ঐ অন্ধকারের পথে।
এখন আমি এসেছি তমার পাশে
পারবে না কেউ কেরে নিতে তোমাকে,
ঐ কামানের আঘাতে।
আমিও বির দামাল ছেলে
যুদ্ধে অপেক্ষার দিকে;
তাকিয়ে আছি স্বাধীনতার ঘোষণার পানে।
জেহেতু,তুমি এখন আমার পাশে।
এসো না হারিয়ে যাই স্বাধীনতার পথে।
‘আশার আলো’
বিকালবেলার শান্ত বাতাসে
উড়ছে ঘুরি
ঐ দূর আকাশের বুকে।
বাতাসের ছন্দে ছন্দে
শেষ বেলায় সূর্যের কিরনে
ঝিকিমিকি মুক্ত আনন্দে
উরছে ঘুড়ি
ঐ দূর আকাশের বুকে।
মুক্ত বিহঙ্গ উড়ছে নিজমনে
আকাশের চারদিকে
বাতাসের ছন্দে ছন্দে
উড়ছে শুধু উড়ছে।প্রানের উচ্ছাসে।
আহ কি রুপ! কি অপরূপ সুন্দর
ঐ আকাশের বুক
যা শুধু নারা দেয় আমার
জীবনের হাসি কান্না ও সুখ-দুখ
অবাক আমি তাকিয়ে থাকি
বাকরুদ্ধ মনে প্রাণে
তাকিয়ে থাকি নিষ্ফল
আশার আলর প্রত্যয়ে ।
‘অনেক খুজেছি তোমাকে’
অনেক খুজেছি তোমাকে-
প্রশান্ত,আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে।
জীবনের শেষ ইচছা নিয়ে-
খুজেছি জনারণ্যে, পাহাড়, ঝর্ণা
নদি আর নির্জনে।
অনেক খুঁজেছি তোমাকে
সকালবেলার প্রথম প্রহরে
সাড়া রজনী ধরে,
ঘুমের ঘরে,নিস্ফল স্বপ্নে,
মনের অন্তরে।
অনেক খুঁজেছি তোমাকে
চাঁদের দেশে, তারার দেশে
মহাকাশের বুকে –
এক শূন্য উদ্দ্যানে।
অনেক খুঁজেছি তোমাকে
এক দেশ থেকে অন্য দেশে
মাঠ-ঘাট, নদ-নদীর
প্রান্ত ঘেঁষে।
দেখা পেলাম না অবশেষে –
যদি থাক বেঁচে-
দেখা দিও নির্জনে এই আকাশে-বাতাসে।
‘ছেলে আজও আসেনি ফিরে’
মায়ের চোখে স্বপ্ন ছিল
ছেলে অনেক বড় হবে।
লেখা পড়া করে যেন
দেশের সেবা করে।
পাখির দেশে, গানের দেশে
এই আমাদের-
বাংলাদেশে।
৭১’মুক্তিযুদ্ধে-
ছেলে গিয়েছিল যুদ্ধ করতে
মায়ের দোয়া নিয়ে।
দেশ স্বাধীন করে ফিরব
তোমার বুকে।
দেশ স্বাধীন হয়েছে রক্ত দিয়ে
ছেলে আজও আসেনি ফিরে।