সেই ভালোবাসার দিশা
………………..আশফাকুর তাসবীর
অভিযুক্ত করে আজ আমাকে
অভিরতি অভিমানে কোন অভিমুখের অভিযাত্রী এখন তুমি?
তোমার যা অভিলাষ তাই তো ছিলো আমার অভিরূপ
তবুও অভিশংসিত আমি আজ তোমার প্রেমের অভিরুচির কাছে
অভিষিক্ত দৃষ্টিতে চুপিসারে অভিসারে অভিহত আমি আজ।
কৃষ্ণপক্ষের শেষ তিথির ঘোর অন্ধকারের আকাশে
রুপালী নক্ষত্ররা জেগে ওঠে না আর
কোথাও কেউ নেই আজ আমার পাশে।
পৃথবীর বুক থেকে জীব অংশ আর ভগবান অংশের
লগারিদমের ভগ্নাংশ বের করা আজ বড় কঠিন কাজ।
বসন্ত কালের পরিবর্তে শরৎকালে
তবে কেন আমার ঘুম ভাঙিয়েছিলে?
ঈষৎ নীলাভের মাঝে ঈষৎ শ্বেতাভ শ্যামল
প্রস্তর খন্ডের পাহাড়ের ওপর থেকে
তবুও ভেসে আসে তোমার মায়াবী প্রেমের ঝংকার!
তোমার অষ্টভুজ প্রেমের মায়াজালে ধরাশায়ী আমি আজ
যা মিথ্যে নয় এমন সত্যের মতোই সত্য।
অসীম সমুদ্র, তুমুল ঝড়, কঠিন বিপদ
আচ্ছন্ন করে আছে আজ আমাকে
এই প্রকান্ড কান্ডের ভেতরে
কোন কান্ড ধরে অপেক্ষা করবো নিজেকে আমি?
ইংরেজি সনের ষষ্ঠ মাসের একাদশ দিনে
দিকভ্রান্তের মতো এসেছিলাম আমি
আর দ্বাদশ মাসের নবম দিনে তুমি এসে ধরেছিলে আমার হাত
দেখিয়েছিলে ভালোবাসার এক দিশা।
অসীম সমুদ্র, তুমুল ঝ্ড় কঠিন বিপদের মাঝেও থেকে থেকে শুনি
ঈষৎ নীলাভের মাঝে ঈষৎ শ্বেতাভ শ্যামল
প্রস্তর খন্ডের ওই দূর পাহাড়ের ওপর থেকে
তোমার মায়াবী প্রেমের ঝংকার!
জেগে ওঠে এক আশা, হয়তো আবার পাবো সেই ভালোবাসার দিশা।