ডেস্ক রিপোর্টঃ কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ধরলা নদীর পানি কমলেও এখনও বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এসব নদীর অববাহিকায় ৩০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম চর গ্রাম ও দ্বীপচর প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৬০ হাজার পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রে ১২ ও দুধকুমারে ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ^রী, ভুরুঙ্গামারী ও উলিপুর উপজেলায় নতুন করে আরো ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি নিচে চলে যাওয়ায় আমনের বীজতলা, ভুট্রা, কলাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ব্রহ্মপুত্র ও শাখা নদীরগুলোর অববাহিকায় চরাঞ্চলে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার অনেক পাকা ও কাঁচা রাস্তায় পানি উঠায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
কলার ভেলা ও নৌকাই যোগাযোগের বাহন হয়ে উঠেছে। সদর উপজেলার হলোখানার সারোডোব এলাকায় কুড়িগ্রাম-ফুলবাড়ী সড়কটি ভেঙে যাবার উপক্রম হয়েছে। ঘরের ভেতর উঁচু মাচা করে অনেক বন্যার্ত আশ্রয় নিলেও অনেকেই উঁচু স্থান ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন অফিস জানিয়েছে, চলতি বন্যায় ৩৪৪টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। জেলায় ৪২৮টি স্কুলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখনও ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়নি।
B/S/S/N.