আসাদ হোসেন রিফাতঃ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম।
এর আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ-২ ও ধানমন্ডি থানাধীন সোবাহানবাগ এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, হত্যার চেষ্টার মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও তার অন্যতম সহযোগী কামরুল বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে পতিত আওয়ামী সরকারকে পুনর্বাসনের লক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দ্বারা জনমত গড়ে তোলাসহ দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছিলেন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ইউটিউব চ্যানেল ও জুম প্লাটফর্মে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান বৈধ সরকারকে উৎখাত করে পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে এনে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা করছে তারা।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষে সারাদেশের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা তথা জনশৃঙ্খলার ক্ষতিকর কার্য এবং বর্তমান বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণাবোধ সৃষ্টির অভিপ্রায়ে ধ্বংসাত্মক কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাদের কর্মী বাহিনীকে সংগঠিত করছে। যা ক্ষতিকর কার্যের শামিল।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ডিবি পুলিশের মাধ্যমে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে লালমনিহাটে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত শ্যামল (৪২) হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্যগড্ডিমারী গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে।লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গড্ডিমারি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়া কামরুল হাসান (৩২) পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য। উভয়ই জয় বাংলা বিগ্রেডের সক্রিয় সদস্য।