কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজলার এক সময়ের বড় হাট ছিল মাগুড়া বাজার কালের পরিক্রমায় মাগুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গ্রাম গঞ্জে ছোট ছোট বাজার বসার ফলে মাগুড়া বাজারটি পুর্বের ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছিল। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মাগুড়া বাজারের অবস্থা একবারেই খাড়াপ অবস্থা ছিল। এরেই মধ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের ফলে ২ বারের জন্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় মাগুড়া ইউনিয়নের অপর একটি অংশ সিঙ্গেরগাড়ী নামক স্থানে।
বিভিন্ন সময় মাগুড়া বাজারটিতে গরুর হাট লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সম্ভব হয়ে উঠেনি। নানা কারনে মাগুড়া বাজারটি তার পুর্বের যৌবন ফিরিয়ে পায়নি। সেই মাগুড়া বাজারকে ঢেলে সাজানোসহ আধুনিকতার ছোয়া লাগাতে চান ইজারাদার নয়া মিয়া। তিনি ১৪৩২ বঙ্গাব্দে ১ লা বৈশাখ থেকে মাগুড়া বাজারটি ইজারাদারের দায়িত্ব পান। নেওয়ার পর থেকে হাটি হাটি পা পা করে বাজারটিকে নতুন করে সাজানো শুরু করেছেন লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া।
বাজারটির দীর্ঘদিন ঘরে সেড গুলো দোকানদাররা তাদের খেয়াল খুশি মতো ঘিরিয়ে রাখতো সেই সেড গুলো এখন খুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের বাজার করতে অনেক সুবিধা হয়েছে তারা এখন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে দৃষ্টি পড়ছে। ঠিক কাটা তারের বেড়ার মতো কাঁচা বাজারটি ঘেড়ানো হয়েছে দেখতোও অনেক সুন্দর লাগছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার মান আগের চেয়ে অনেক বাড়েছে। কিন্তু একটি স্বার্থন্বেষী মহলের কারণে কিছু কিছু জায়গা এখন সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।
দোলোয়ারের কালির দোকান থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন পর্যন্ত চলাচলের রাস্তার দুইধারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মুল দোকান থেকে রাস্তার অর্ধেক পর্যন্ত বারান্দা দিয়ে রাস্তাটি সংকোচন করে ফেলেছেন ফলে ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি মালামাল সামগ্রী বহন করা ট্রাক ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে পাশা পাশি বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ী গুলো ঢুকতে পারতেছে না। মেইন রাস্তায় গাড়ী রেখে মালামাল লোড আনলোড করা লাগতেছে।
আর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে মাগুড়া বাজারের ভিতরে মহিলা মার্কেট রয়েছে দুএকটি দোকান ছাড়া অধিকাংশ দোকান গুলো বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন মহিলা মার্কেটটি বন্ধ থাকার ফলে মরিচা ধরে দোকানের প্লাস্টার, সার্টার, উপরের টিনসহ বিভিন্ন অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান আমরা দোকান করার জন্য জায়গা পাই না আর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তার স্ত্রী সন্তানের জন্য দোকান বরাদ্ধ নিয়ে গোডাউন বানিয়ে ফেলছেন এমনকি দোকান নেওয়ার পর থেকে অদ্যবধি কোনদিনও খুলেনি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছি দোকান গুলো খুলে দেওয়ার জন্য।
মাগুড়া বাজারের ইজারাদার নয়া মিয়া অভিযোগ করে বলেন রাস্তা থেকে বারান্দা নেমে ফেলার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দোকান মালিকদেরকে নির্দেশনা দিলেও এখন পর্যন্ত কোন দোকান মালিক বারান্দা নামায়নি। তিনি নিজেও একাধিকবার বলেও কোন কাজ হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন ইজারাদার আমাদেরকে অবগত করলে বিষয়টি দেখবো বলে জানান।