কাওছারহামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে অসুস্থ গরু নিয়ে এসে জবাই করার প্রস্তুতি কালে সাংবাদিকে উপস্থিতি টেরপেয়ে গরু নিয়ে পালিয়ে গেলো স্থানীয় এক কসাই ও তার লোকজন।
ঘটনাটি ঘটেছে (৯ জুলাই ২০২৫) শনিবার দুপুরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে। জানাগেছে মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে প্রতিনিয়ত এক শ্রেনির কাসাই রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে আসছিল এবং অধিকাংশ সময় গরুগুলো ফজরের আযানের পরপরই জবাই করে দিনের বেলা মাংস বিক্রি করে আসছিল।
বিষয়টি স্থানীয় এক সাংবাদিকের নজরে আসলে তা নজরদারিতে রাখা হয়। ঘটনার দিন অটোবাইকে করে একটি অসুস্থ গরু মাগুড়া খামাত পাড়া গ্রামের মৃত মফিল কাসাইয়ের ছেলে কেচুয়া কাসাই ও তার জামতা সোহেলসহ মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ড কসাইখানায় জবাই করার জন্য টেনে-হেচড়ে নামাতে থাকলে ঘটনাস্থলে ওই সাংবাদিক গিয়ে ক্যামের চালু করে ভিডিও ধারণ করতে থাকলে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয় এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা এবং অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামন মিঠুকে অবগত করা হলে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে প্রথমে গ্রাম পুলিশ আসলে অসুস্থ গরুটি নিয়ে কাসাই কেচয়া মামুদ ও তার লোকজন ভ্যানে করে পালিয়ে যান।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন। ততক্ষনে অসুস্থ গরুটি অল্পদামে মাগুড়া আদর্শ পাড়া (কাসাই পাড়া) গ্রামের স্থানীয় লোকজনের নিকট বিক্রি করলে গরুটি সেখানে জবাই করে স্থানীয় লোকজন ভাগ করে নেয়।
স্থানীয় মটর শ্রমিকের সদস্য জুয়েল বলেন মাগুড়ায় অধিকাংশ কাসাই রাতের আধারে অসুস্থ গরু জবাই করে চালিয়ে দেন। আমরা গরু জবাই করা না দেখে আর মাংস কিনবো না। এতোদিনে আমাদেরকে কাসাইরা অসুস্থ গরুর মাংস খাইয়েছেন । একই কথা বললেন গত বছর অসুস্থ গরুর মাংস ক্রয় করা মাগুড়া কলেজ পাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক। এ বিষয়ে মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি এতোদিন আমার জানা ছিল না, কাসাইদেরকে আমি নোর্টিশের মাধ্যমে অবগত করে ডাকবো।