Sunday, 09 March 2025, 08:49 PM

নীলফামারীতে মালিক সমিতি ও মালিক গ্রুপের দ্বন্ধে জলঢাকা-রংপুর...

কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীলফামারীতে বাস মালিক সমিতি ও মালিক গ্রুপের দ্বন্ধের জেরে জলঢাকা থেকে রংপুর বাসসহ সকল ধরনের যানবাহন ৫ ঘন্টা চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে বিকল্প পথ ও বিভিন্ন পরিবহনে যাতায়াত করতে গিয়ে অতিরিক্ত ভাড়াসহ চরম ভোগান্তি পরতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। 


বাস মালিক গ্রুপের নেতারা বলছেন, সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে না। আজ শনিবার দুপুর হতে জলঢাকা থেকে সরাসরি রংপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। 


সরেজমিন দেখা গেছে, ডিমলা ও জলঢাকা থেকে বিকল্প পথে অর্থাৎ কিশোরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ হয়ে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাসগুলো চলাচল করছে। যাত্রীরাও বিকল্প পরিবহন ও পথে গন্তব্যে যাত্রা করছেন। এতে ভোগান্তির সঙ্গে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। 


রংপুরগামী যাত্রী মামুন মিয়া বলেন, ‘জরুরী কাজে রংপুরে যাব, কিন্তু মাগুড়ায় এসে দেখি হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ। এখন বিকল্প পথে দীর্ঘ পথ ঘুরে কিশোরগঞ্জ তারাগঞ্জ হয়ে রংপুর যেতে হবে।


আসাদুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পরিবহন মালিকদের দ্বন্দ্বের দায় কি জনগণ নেবে? যাত্রীদের এভাবে কষ্ট দিয়ে তাদের কী লাভ, আমি জানি না। এখন অনেক দূর ঘুরে ঢাকা যেতে হবে।


নীলফামারী মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কাজী তরিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আনদোলনে বৈষম্য দূর হলেও মালিক গ্রুপ ও মালিক সমিতির বৈষম্য শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে দিনাজপুর-রংপুর রোড মালিক সমিতি দেখে ও আমরা মালিক গ্রুপ জলঢাকা-রংপুর রোড দেখি। মালিক সমিতি নতুন করে আমাদের রোডে দুইটি গাড়ী চালাতে চায় তখন আমরাও বলেছি আমরা আপনাদের রোডে একটি গাড়ী চালাবো। কিন্তু ওনারা আমাদের কথায় রাজি হননি। তারা আমাদের রোডে গাড়ী চালাবে আর আমাদের গাড়ী তাদের রোডে চালাতে দিবে না। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আজকে দুপুরে মালিক সমিতি আমাদের রুটেরর গাড়ী আটক করে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় পরে আমরাও তাদের গাড়ী আটকিয়ে দেই।

নীলফামারীর জেলা মটর মালিক গ্রæপের আর এক সদস্য কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিয়য়ক সম্পাদক সাইদুল ইসলামের ছবি দেখিয়ে বলেন এরা প্রত্যেক গাড়ী থেকে ৩/৪ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয় এরাই হচ্ছে বড় চাঁদাবাজ।   


বলেন  যত্রতত্র গাড়ী ঢুকায় প্রত্যেকটি গাড়ী থেকে নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি সহঃ সভাপতি আনোয়ারুল নাফিজ বলেন জলঢাকা রুটের তালিকাভূক্ত ৫টি গাড়ী জলঢাকার স্থানীয় মালিকরা বের করে দেন। এছাড়াও তিনি বলেন সাত মাস ধরে এই ৫টি গাড়ী চলছে না, এই গাড়ী গুলো না চলার কারনে নীলফামারী জেলার পরিবহন সেক্টরে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তারেই ধারাবাহিকতায় আমরা মধ্যস্ততাকারী হিসেবে গত বৃহস্পতির মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আমরা গতকালকে চিঠিপত্র প্রদান করে রংপুর মালিক সমিতি জলঢাকা চেইন মাস্টারকে প্রদান করি। কতিপয় মালিক আমাদের এই ৫টি গাড়ীকে জিম্মি  করে রাখে।  নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন নীলফামারী জেলা মালিক সমিতি একত্রিত হয়ে বের করে দেওয়া ৫টি বাসকে আবারও চলাচল করার জন্য আমরা এখানে এসেছি এবং এখানে যারা অবৈধভাবে  রাস্তা ব্যারিকেট দিয়েছে আমরা প্রশাসনকে অবগত করেছি এবং প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

// Disable right-click context menu // Disable text selection // Disable dragging of images and text // Disable copy events // Disable common keyboard shortcuts for copying // Check for Ctrl/Command key combinations with C, X, S, or P