কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ারে পড়ে না। সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স সরকারের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, সরকারে থেকে নতুন দল করবেন, জনগণ এটাও মেনে নেবে না। নতুন দল করবেন ভালো কথা, রাজনীতির মাঠে আসেন। জনগণ যদি মেনে নেয় তাতে আমাদের আপত্তি নেই। সরকারে থেকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নতুন দল গড়া কোনভাবেই এদেশের মানুষ মানেনি, মানবে না।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাজনৈতিক জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সৈয়দপুর শহরের শেরে বাংলা সড়কে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল গফুর সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর ছয় মাসেও বিএনপি কোন কথা বলেনি। আমরা দেখছি তারা জনগণকে পাশ কাটিয়ে চলছেন। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলেও তারা ব্যর্থ, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও তারা কিছুই করতে পারছেন না। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য অবাধ ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।
তাই সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় কোন নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করা হলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। বিএনপি জনগণের দল, আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে জনসমাবেশের মাধ্যমে সরকারকে এই বার্তা দিচ্ছি। সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বেবী নাজনীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, স্থানীয় বিএনপি নেতা অ্যাড. ওবায়দুর রহমান, শফিকুল ইসলাম জনি, জিয়াউল হক জিয়া এরশাদ হোসেন পাপ্পু, রেজাউল করিম লোকমান, কামরুল হাসান কার্জন, রশিদুল হক সরকার, শেখ বাবলু, কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি‘র সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারন সম্পাদক একেএম তাজুল ইসলাম ডালিম,সৈয়দপুর রাজনীতিক জেলা বিএনপি‘র স্বেচ্ছা বিষক সম্পদক আবুল সানওয়াৎ চৌধুরী (বিয়েছ),আবুল শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আলী, হামিদুল ইসলাম প্রমুখ।সমাবেশে প্রিন্স বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হলেও তার দোসররা বাইরে ও প্রশাসনের ভিতরে থেকে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ছাত্র-জনতাকে হত্যাকারী খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তিনি আরও বলেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল এখন খুবই উৎফুল্ল। তারা জনগণের আশা আকাঙ্খাকে পাশ কাটিয়ে অন্য উদ্দেশ্যে কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অতীতে যে ভুল করেছেন এবারও ভুল করলে জনগণ ক্ষমা করবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা হচ্ছে জনগণের মুক্তির সনদ। তারেক রহমান দেশ ও জনগণের স্বার্থে কথা বলছেন বলেই বিএনপি জনগণের হৃদয়ে গভীরভাবে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এমন কিছু করবেন না যাতে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়। আগামী সংসদ নির্বাচন হবে কঠিন। নির্বাচনে জয়ী হতে এখন থেকে কাজ করে যেতে হবে বলে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।