জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন বিভাগে যাই। শহিদ পরিবারগুলোর সঙ্গে আমাদের দেখা হয় কথা হয়। প্রায় চার-সাড়ে মাস পরও যখন কোনো শহিদের বাবা, গর্বিত মা আমাদের তার সন্তানের রক্তাক্ত লাশের ছবি দেখান, বিদ্ধ হওয়া বুলেটটি দেখান, তখন আমরা ১৮, ১৯, ২০ জুলাইয়ে ফিরে যাই। ৩, ৪, ৫ আগস্টে ফিরে যাই। কিন্তু সবচেয়ে কষ্টের কথা হচ্ছে, আমরা বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখন জুন ৫ থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট এই সময়টা ভুলে যেতে বসেছি। ভুলে যেতে বসেছি এই জায়গা থেকে বাংলাদেশে একজন খুনির নাম দিয়ে আবারও স্লোগান দেয়, একজন খুনির নাম দিয়ে আবারও দেওয়ালে লিখন হয়। একজন খুনির নাম দিয়ে আবারও দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে শত শত মানুষ ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফোরামের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম আরও বলেন, চব্বিশের চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। অনেক ত্যাগের মাধ্যমে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানেও ব্যক্তি স্বার্থের জন্য অনেকে কাজ করছেন। এ পরিস্থিতি উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবিচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, হাসিনা নিজের বাড়ি যাওয়ার পথে এক্সপ্রেসওয়ে করেছেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গের রাস্তা হয়নি।শহিদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কাইয়ুম। সভাপতির বক্তব্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফোরামের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পরে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদানের পাশাপাশি শহিদ পরিবারের সদস্যের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়।
jug/N