কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: পাগলাপীর জলঢাকা সড়ক এখন মরন ফাঁদ পুরো রাস্তাটি খানাখন্দে ভরপুর অতিবৃষ্টির কারণে সড়কটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের মধ্যে জমে থাকা পানি খানাখন্দ গুলো ঢেকে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত আটোবাইক, থ্রী হুইলার, মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে ফলে লেগে আছে ছোটখাটো দূর্ঘটনা।
দূর্ঘটনার কারণে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ পথচারীসহ চালকরা। সড়কটিতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে যানবাহন চলাচলের,তেমনি সমস্যা দেখা দিচ্ছে যানবাহনের ইঞ্জিনসহ নানা যান্ত্রিক ত্রুটি। সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে মাগুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড পর্যন্ত সব চাইতে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গাড়াগ্রাম কালিরথান থেকে জুম্মারপাড়,রনচন্ডী বাজার থেকে বড়ভিটা এবং জলঢাকা পর্যন্ত ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে চলাচলরত কয়েকজন ট্রাক চালকের সাথে কথা হলে তারা জানান সড়কটিতে জলঢাকা থেকে পাগলাপীর পর্যন্ত ছোটখাটো গর্ত থাকলেও বিশেষ করে মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকাটি একেবাড়ে ভয়াবহ অবস্থা মরন ফাঁদ হয়ে দাড়িয়েছে, কোন অবস্থাতেই গাড়ী নিয়ে যাওয়া যাচ্ছেনা, কখন যে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়বো এ টেনশন নিয়েই গাড়ী চালাতে হচ্ছে। মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী রাদ ফার্মেসী স্বত্তাধিকারী আয়নাল হক ও হাবিব ট্রেডার্স স্বত্তাধিকারী নাইমুল হক জানান মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে রাস্তা ভাল করার আগে এখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে হবে তাহলে রাস্তাটির কাজ করলে দীর্ঘদিন কাজটির স্থায়িত্ব পাবে, পানি বের হইতে না পারায় জমে থাকা পানি দিয়ে গর্তে সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর নীলফামারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আপাতত মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ড মেশিননেট দিয়ে পুরোটাই করবো,আমরা এটা টেন্ডারও করেছি। পরবর্তী সময়ে এটি আমরা আরসিসি ঢালাই দিয়ে দিবো।
2 Comments